গোসলের সময় কেন বাড়ে সৃজনশীলতা?
‘ইউরেকা’ শব্দটির সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। আর্কিমিডাসের মুখ থেকে বের হয়েছিলো শব্দটি। তাও আবার চৌবাচ্চায় গোসল করতে গিয়ে।
গোসলের সময় হঠাৎই নগ্ন অবস্থায় আর্কিমিডাস উচ্চস্বরে বলে ওঠেন ইউরেকা! যার অর্থ হলো ‘পেয়েছি’।
সেদিনই তিনি আবিষ্কার করেছিলেন প্লবতা। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, সেদিন গোসলে না গেলে বিষয়টি হয়তো অধরাই থেকে যেতো।
অবাক করা তথ্য হলেও সত্যিই যে, গোসলের সঙ্গে নাকি যোগ আছে সৃজনশীলতার। এমনই মত গবেষকদের।
সৃজনশীলতা আসলে কী? কোনো একটি সমস্যা বা ধাঁধার সমাধান যদি হাতের কাছে না থাকে তখন মস্তিষ্ক নিজেই মৌলিক চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিয়ে সমাধান খুঁজে নেয়। একেই সাধারণ ভাবে সৃজনশীলতা বলে।
একাধিক গবেষণা বলছে, গোসলের সময় বেড়ে যায় সৃজনশীলতা। ২০১৫ সালে করা একটি সমীক্ষা বলছে, গোসল করতে গিয়ে প্রায় ৭২ শতাংশ মানুষের মাথায় এসেছে নতুন আইডিয়া বা ভাবনা-চিন্তা।
১৮-৬৪ বছর বয়সী ৪০০০ মানুষর উপর করা হয় সমীক্ষাটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একে বলে ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক।
এক্ষেত্রে অবচেতন মনে পরস্পর সম্পর্কবিহীন একটি ভাবনার ধারা অপর একটি ভাবনার সঙ্গে ধাক্কা খায়। এর ফলে মস্তিষ্কে নতুন সংযোগ তৈরি হয়। তবে কেন এমনটি হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গোসলের সময় মানুষের চিন্তা-ভাবনা কিছুটা অন্তর্মুখী হয়ে যায়। আবার কারো মতে, এ সময় ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
জেএমএস/জেআইএম