ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ঘ্রাণশক্তিতে বুঝে নিন ভিটামিন ডি’র ঘাটতি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ভিটামিন ডি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি হাড় ও দাঁত মজবুত করে। এ ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।

শরীরে যদি ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে শরীরে ভিটামিন ডি কম আছে না বেশি তা জানা বেশ কঠিন।

যদিও একটি উপায় আছে! আপনি গন্ধ শুকেই বুঝতে পারবেন শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব আছে কি না। শরীরের সুস্থতায় প্রতিটি ভিটামিনেরই প্রয়োজন আছে। তবে ভিটামিন ডি শরীরের একটু বেশিই প্রয়োজন।

এই ভিটামিন মূলত ফ্যাট সলিউবল। হাড়ের গঠন থেকে শুরু করে ইমিউনিটি পর্যন্ত বাড়াতে পারে এই ভিটামিন। এ কারণে শরীরে ভিটামিন ডি মজুত রাখা খুবই জরুরি। এর ঘাটতি হলেই কিন্তু এই করোনা মহামারিতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

কারণ গবেষণা বলছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা তাদেরই হচ্ছে, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি আছে। এমনকি এমন ব্যক্তিরাই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বেশি। তাই বিশেষজ্ঞরা ভিটামিন ডি’র অভাব নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন বারবার।

ভিটামিন ডি’র ঘাটতি বুঝে নিন গন্ধ শুকেই

গন্ধ শুকে কীভাবে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি আছে কি না?

শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকলে বয়স বাড়তেই স্বাদ ও গন্ধ হারাতে পারেন। প্রথমদিকে টের না পেলেও পরবর্তী সময়ে এ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠতে পারে।

২০২০ সালে নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে আসে। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব হলে ৬ এর অধিক ঘ্রাণ পেতে সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি স্বাদ পেতেও সমস্যা হয়।

গবেষণায় আরও বলা হয়, শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকা ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি গন্ধ ও স্বাদ না পাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। গবেষকরা দাবি করেন, বয়স বাড়তেই ভিটামিন ডি জনিত ঘাটতি এ সমস্যাকে প্রকট করে তোলে।

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, সব বয়সীদের শরীরেই ভিটামিন ডি’র পর্যাপ্ত জোগান থাকতে হবে। এজন্য দিনের যে কোনো এক সময় রোদ গায়ে মাখুন। দিনে কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট রোদে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই পূরণ হবে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি।

তবে করোনোর কারণেও এখন এ সমস্যা হতে পারে। যা-ই হোক না কেন, ঘ্রাণ ও স্বাদ হারাতে বসলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন