ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

বিচ্ছেদে কমে যায় পুরুষের আয়ু!

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

সম্পর্ক বিচ্ছেদ কারও কাম্য নয়। তবুও কারও কারও সম্পর্কের ইতি টানতে হয়। কারণ সম্পর্কের ভাঙা গড়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে জীবনের নদী।

তবে জানেন কি, সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটলে মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরেও।

এমনটিই বলছে গবেষণা। বিশেষ করে বিচ্ছেদের কারণে পুরুষদের স্বাস্থ্যের উপরে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলে। যা তাদের আয়ুও কমিয়ে দিতে পারে।

৪৮ থেকে ৬২ বছর বয়সী ৪ হাজার ৮০০ জনের উপর করা কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির গবেষণায় এমরই তথ্য উঠে এসেছে।

১৯৮৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যারা বিচ্ছেদের ফলে একা থেকেছেন তাদের উপর করা হয় এ গবেষণা।

বিবাহিত পুরুষদের স্বাস্থ্য অবিবাহিত, বিপত্নীক বা বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষদের থেকে বেশি ভালো বলে জানা গেছে।

এমনকি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, জীবন সঙ্গী আছেন এমন পুরুষ জীবনসঙ্গীহীন পুরুষদের থেকে বেশি দিন বাঁচেন।

গবেষকদের দাবি, যেসব পুরুষ কোনো সঙ্গী ছাড়াই জীবন কাটাচ্ছেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি। এ ছাড়াও ডাইমেনশিয়ায়ও এদের আক্রান্তের হার বেশি।

এমনকি অবিবাহিত, বিবাহবিচ্ছিন্ন ও বিপত্নীক পুরুষদের মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার অভাব দেখা গেছে।

তাদের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপানের মতো সমস্যা বেশি দেখা যায় বলেও মত গবেষকদের। এসব অভ্যাসের কারণেই শরীরের বাসা বাঁধে বিভিন্ন রোগব্যাধি। যা তাদের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে।

ডেনমার্কের সাম্প্রতিক এই গবেষণাটি জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে প্রকাশিত হয়েছে।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিকে লুন্ড হলেন গবেষণার অন্যতম প্রধান লেখক।

তিনি বলেন, ‘একাকিত্ব পুরুষের অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হন। যা তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’

অন্যদিকে নারীদের মধ্যে যারা একাধিক সম্পর্কের ভাঙ্গনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, বা দীর্ঘ সময় একা কাটিয়েছেন তাদের মধ্যে তেমন কোনো শারীরিক ব্যাধি দেখা দেয়নি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক লুন্ড বলেছেন, ‘বিচ্ছেদ বা বিচ্ছেদের পর নারীর পরিবার ও তার বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ভালো সমর্থন পাওয়ার প্রবণতা থাকে। যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর চাপের প্রভাব কাটিয়ে দেয়।’

‘অন্যদিকে পুরুষরা তাদের আবেগ কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করেন না। তাদের যন্ত্রণা নিজেদের মধ্যেই গোপন রাখেন। যা তাদের মানসিক অবস্থায় খারাপ প্রভাব ফেলে।’

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে/ ডেইলি মেইল

জেএমএস/এমএস

আরও পড়ুন