কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে সংক্রমণ ঠেকানো যায়?
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিকল্প নেই। যার মধ্যে অন্যতম হলো মাস্ক ব্যবহার। মহামারি করোনার শুরু থেকেই সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি যারা করোনার টিকা নিয়েছেন, তাদেরকেও মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সম্প্রতি করোনার নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন সবার কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মাস্ক পরার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সরকারও।
তবে অনেকেই মাস্কের বিষয়ে উদাসহীন। আবার অনেকেই সঠিক মাস্কের বদলে বাজারচলতি বিভিন্ন মাস্ক ব্যবহার করছেন। যার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাও আবার ২০ মিনিটের মধ্যেই! এমনই তথ্য জানাচ্ছে গবেষণা।
বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে জানিয়েছেন, কোভিড আটকাতে সবচেয়ে উপযোগী হলো এন৯৫ মাস্ক। একজন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যদি মাস্ক না পরেন, তাহলে তার সামনে এন৯৫ মাস্ক একজন সুস্থ মানুষকে রক্ষা করতে পারে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
আর রোগী ও একজন সাধারণ মানুষ দু’জনেই যদি মাস্ক পরেন, তাহলে কোভিড রোগী থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে প্রায় ২৫ ঘণ্টা। তবে এন৯৫ মাস্ক দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা কষ্টকর বলে সাধারণ কাপড়ের মাস্ক পরে থাকার প্রবণতা বেড়েছে। এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করছেন গবেষকরা।
গবেষণা বলছে, ওমিক্রন ঠেকাতে কাপড়ের মাস্ক মোটেই কার্যকরী নয়। গবেষণা বলছে, কোনো কোভিড আক্রান্তের সামনে যদি এ ধরনের একস্তরীয় কাপড়ের মাস্ক পরে যাওয়া হয় তাহলে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই সামনে থাকা সুস্থ ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হতে পারেন।
আর রোগী ও সুস্থ ব্যক্তি দুজনেই যদি এই মাস্ক পরেন তবে সংক্রমণ ছড়াতে সময় নেয় আধা ঘণ্টারও কম অর্থাৎ মাত্র ২৭ মিনিট। এ অবস্থায় সুরক্ষিত থাকতে কাপড়ের মাস্কের বদলে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। একটি সার্জিক্যাল মাস্ক সংক্রমণ থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তিকে রক্ষা করতে পারে প্রায় আধা ঘণ্টা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন করোনার অন্যান্য রূপগুলোর চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। তাই এ সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করাও অনেক বেশি কঠিন। তাই মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে রাখা, নাক থেকে খুলে রাখা, বারবার মাস্কে হাত দেওয়া ইত্যাদি কারণে খুব দ্রুত সংক্রমণ হতে পারে।
গবেষণা বলছে, কোনো ধরনের মাস্ক পরা না থাকলে করোনা রোগীর থেকে একজন সুস্থ ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।
সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
জেএমএস/এএসএম