কৃমির সমস্যার লক্ষণ ও দ্রুত দূর করার ৫ উপায়
শুধু ছোটরা নয়, বড়রাও কৃমির সমস্যায় ভোগেন। যদিও অনেকেই টের পান না! পেট ব্যথা কিংবা যন্ত্রণার কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করেন তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফল। তবে শুধু হজমের সমস্যা নয় বরং এটি হতে পারে কৃমির সমস্যা।
কৃমির সমস্যার লক্ষণ
১. দুর্বলতা
২. তলপেটে ব্যথা
৩. ক্ষুধামন্দা
৪. ক্লান্ত লাগা
৫. কাশি হওয়া
৬. ডায়রিয়া ও বমি হওয়া
৭. ওজন কমে যাওয়া
৮. গ্যাস বা পেট ফাঁপা।
কৃমি দূর করার উপায়
অনেকেই ওষুধ খেয়ে কৃমি দূর করেন। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও কৃমির সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। জেনে নিন ৫ উপায়-
>> মধু ও কাঁচা পেঁপে কৃমি দূর করতে পারে। এজন্য এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কাঁচা পেঁপের রস মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। সপ্তাহখানেক খেলেই উপকার পাবেন।
>> অন্ত্রে থাকা কৃমি ও প্যারাসাইট দূর করতে পারে লবঙ্গ। এজন্য এক কাপ পানিতে ৩-৪টি লবঙ্গ ফুটিয়ে সারাদিন অল্প অল্প করে পান করুন। লবঙ্গ কৃমি ও এর ডিমও দূর করে।
>> কাঁচা হলুদের আছে হাজারও উপকারিতা। কৃমি তাড়াতে খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন। কাঁচা হলুদে থাকা জীবানুনাশক ও প্রদাহবিরোধী উপাদান এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
>> নিমপাতাও কৃমি দূর করে। এজন্য সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি আধা চা চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত খেলে কৃমির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
>> কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন কুমড়োর বীজ। এতে থাকা উপাদান কৃমি ও প্যারাসাইট ধ্বংস করে। এজন্য সমপরিমাণ নারকেল দুধ ও পানি মিশিয়ে নিন।
তারপর এক চা চামচ ভেজে গুঁড়া করে নেওয়া কুমড়ার বীজ মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পান করুন। সপ্তাহখানেক এই পানীয় খেলেই অন্ত্রের সব কৃমি দূর হবে।
জেএমএস/জিকেএস