টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহারে বাড়ছে যে প্রাণঘাতী রোগ
স্মার্টফোন এক মিনিট হাতে না থাকলে অনেকেই নিজেকে অসহায় মনে করেন! স্মার্টফোন ছাড়া এখন এক মিনিট কাটানোও কঠিন। অনেকেই টয়লেটে যান হাতে ফোন নিয়েই। তবে এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ, এমনই বলছে গবেষণা।
সম্প্রতি সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গবেষকরা দাবি করেছেন, ৫০ শতাংশের বেশি অস্ট্রেলিয়ার মানুষ ও ৮০ শতাংশেরও বেশি আমেরিকান টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।
৬০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক টয়লেটে যান হাতে মোবাইল ফোন নিয়ে। ভারতীয়রাও দৌড়ে পিছিয়ে নেই। ৭০ শতাংশের বেশি ভারতীয় একই কাজ করেন। এর ফলে যেসব সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে সেগুলোরও তালিকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। জেনে নিন কী বলছে গবেষণার তথ্য-
ফোন হাতে টয়লেটে গেলে অজান্তেই অনেকটা সময় কাটানো হয় সেখানে। ফলে মলদ্বারে চাপ পড়ে। এতে অর্শরোগের আশঙ্কা বাড়ে।
শুধু অর্শই নয়, দীর্ঘক্ষণ শৌচালয়ে বসে থাকলে মলদ্বারের শিরাতেও চাপ পড়ে। সেখানেও প্রদাহ হতে পারে। এতে পাইলসের মতো মলদ্বারের নানা অসুখও বাড়তে পারে।
একইসঙ্গে টয়লেটের স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ হাজারও জীবাণুর আঁতুরঘর। যখন আপনি টয়লেটে ফোন ব্যবহার করবেন তখন জীবাণু সেখানে বাসা বাঁধবে।
এর মধ্যে ইকোলাইয়ের মতো জীবাণুও থাকে। সেগুলি পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো সালমোনেল্লার মতো জীবাণু।
ফোনে সহজেই এই জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। এই জীবাণুর কারণেই ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয়ে যায়। গরম পরিবেশে সালমোনেল্লার মতো জীবাণু অতি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।
পরে সেটি ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এই জীবাণু। যদি কারও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে এসব সংক্রমণ প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে তাদের জন্য। তাই এখন থেকে টয়লেটে ফোন হাতে যাওয়ার আগে একবার নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ভাবুন।
সূত্র: ডেইলিমেইল/হেলথলাইন
জেএমএস/এমএস