ভাত খেয়েও ওজন কমানোর ৩ উপায়
ওজন কমানোর রেসে বর্তমানে সবাই দৌঁড়াচ্ছেন। সবাই চায় ফিট থাকতে। তবে ভুল জীবনধারণের প্রভাবে অনেকেই অতিরিক্ত মুটিয়ে যান। এতে দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই।
তবে ওজন কমাতে হলে তো ভাত খাওয়া বাদ দিতে হবে! এ ধারণা সবার মধ্যেই আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতে অধিক পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। যা দ্রুত ওজন বাড়ায়। তবে ওজন কমাতে হঠাৎ করেই খাদ্যতালিকা থেকে ভাত বাদ দেওয়া ঠিক নয়।
আর ভাত খেলেই যে ওজন কমাতে পারবেন না এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মূল বিষয় হলো, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দৈনিক শরীর যতটা ক্যালরি ঝরাচ্ছে তার চেয়ে কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এ কারণে স্বাস্থ্য সচেতনরা ভাত এড়িয়ে যান। কারণ ভাতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে।
আবার ভাত খাওয়ার অনেক উপকারিতাও আছে। ভাত এমন এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা সহজেই হজম হয়ে যায়। এতে থাকা ফাইবার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে।
তাই বারবার খিদে লাগে না। ভাতে কোনোরকম গ্লুটেন নেই। ভাত খেলে শরীর অনেকটা ঠান্ডাও থাকে। তবে ভাত খেয়েও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ৩টি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি-
মেপে খান
ওজন কমাতে হলে ভাত মেপে খেতে হবে। পুষ্টিবিদদের ভাষায় যাকে বলে ‘পোর্শন কন্ট্রোল’। ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিলেই ওজনসহ শারীরিক অনেক সমস্যাই কমবে।
অনেকেই সাদা ভাতের বদলে ডায়েট করার সময়ে ব্রাউন রাইস খান। এটি না করে বরং দু’বেলা ভাত খাওয়ার বদলে একবেলা খান।
ভাতের সঙ্গে সবজি খান
ভাতের পরিমাণ কমিয়ে তার সঙ্গে যদি বেশি পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। বেশি করে শাক-সবজি, সালাদ, মাছ-মাংস খান।
দেখবেন পেট ভরে গিয়েছে। তবে কখনও কাঁচা শাক-সাবজি খাবেন না। অবশ্যই সেদ্ধ করে খেতে হবে।
রান্নার ধরনে পরিবর্তন
ভাত রান্নার সময় অবশ্যই মাড় ফেলে দেবেন। ভাজা ভাত বা ফ্রাইড রাইস খাওয়া বন্ধ করুন। একইসঙ্গে বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
জেএমএস/এমএস