করোনামুক্তির পর পেটের বিভিন্ন সমস্যা ঠেকাতে যা করবেন
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও অনেকেই শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় নতুন করে ভুগছেন। ঠিক তেমনই অনেকের ক্ষেত্রেই করোনামুক্ত হওয়ার পর দেখা দিচ্ছে হজমের সমস্যা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাসহ হজমজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন করোনা নেগেটিভ রোগীরা।
করোনা সংক্রমণ যে শুধু আমাদের রেসপিরেটরি সিস্টেমকেই আঘাত করে তা নয়। শরীরের অন্য়ান্য অঙ্গেও এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। পোস্ট কোভিড উপসর্গের মধ্য়ে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ এটি।
এর ফলে ব্লোটিং, অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এমনকি ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এর মতো সমস্যাও সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর মধ্য়ে দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল ট্র্যাক্টে কার্যকারিতায় সমস্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে লিভার, অগ্নাশয় এবং গল ব্লাডারেও তার প্রভাব পড়ছে। এসব অঙ্গগুলো তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারছে না।
এমনকি হজমজনিত এসব সমস্যার মাত্রারিক্ত প্রভাবে রোগীর জিআই ট্র্যাক্টে রক্তক্ষরণ পর্যন্তও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে রক্তজালিকায় রক্ত জমাট বেঁধেও থাকতে পারে। যার ফল ভয়ানক হতে পারে।
তাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠরেও পেটের যত্ন নিতে হবে রোগীকে। করোনামুক্ত হওয়ার পরে যদি কয়েকটি উপসর্গ শরীরে দেখা দেয়; তাহলে অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জেনে নিন লক্ষণগুলো-
>> অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা
>> খাবার ইচ্ছে কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
>> পেটের উপরের অংশে ব্যথা করা
>> কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা
>> ডায়রিয়া হওয়া
>> বমি বমি ভাব বা বমি করা
>> জিআই রক্তক্ষরণ
>> অন্ত্রে প্রদ্রাহ
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস জিআই ট্র্য়াক্টে প্রবেশ করলে; পেটের মাইক্রোবায়োটিয়া পরিবর্তন করে দিতে পারে। এর ফলে স্নায়ুতেও প্রভাব পড়ে। জেনে নিন করোনা পরবর্তী সময়ে পেটের নানা সমস্যা থেকে বাঁচতে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি-
>> যেকোনো ইমিউন বুস্টার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।
>> আপনার খাদ্যতালিকায় খুব হালকা খাবার রাখুন। শাক-সবজি বেশি রাখুন।
>> একেবারেই ফাস্ট ফুড খাবেন না।
>> প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন।
>> ডায়েটে প্রিবায়োটিক এবং প্রোবায়োটিক যোগ করুন। এজন্য টক দই খেতে পারেন।
>> প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করুন।
>> ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
>> ফ্ল্যাক্স সিড, আমন্ড, কাঠবাদাম, চিয়া সিড এবং অন্য়ান্য় সামুদ্রিক খাবার খেতে পারেন।
>> ডায়েটে জিঙ্কও যোগ করুন। প্রোটিন যেন অবশ্য়ই থাকে।
>> এ ছাড়াও দুধ (বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে), ডাল, সোয়া, চিকেন, মাছ এবং ডিম খান।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জেএমএস/জিকেএস