গরুর মাংস যেভাবে খেলে শরীর থাকবে সুস্থ
কোরবানির ঈদ মানেই মাংসের বাহারি পদ খাওয়ার লড়াই! তবে সবারিই উচিত অতিরিক্ত খাবার পরিহার করা। স্বভাবতই কোরবানি ঈদ ও এর পরবর্তী দিনগুলোতে সবাই কমবেশি দাওয়াত খেয়ে থাকেন। পাশাপাশি নিজেদের ঘরেও তৈরি করা হয় বাহারি আয়োজন।
তবে যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন এমনকি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কিডনির রোগীদের গরু ও খাসির মাংস খাওয়া বারণ। যদিও ঈদের এ সময় কি আর মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব! তবে কিছু নিয়ম মেনে যদি গরু বা খাসির মাংস রান্না করা যায়; তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কমে যায়।
ঈদের কয়েকটি দিন যদি আপনি ক্যালোরি মেপে খেতে পারেন; তাহলে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই তো ঈদে ভরপেট খেয়েও থাকতে পারেন ঝরঝরে। কয়েকটি নিয়ম মেনে মাংস রান্না করলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়-
>> লাল মাংস অর্থাৎ গরু ও খাসির মাংসে অধিক চর্বি থাকে। তাই চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া একেববারেই বন্ধ করুন। শরীরে হঠাৎ চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে, রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
>> মাংসগুলো যতটা সম্ভব ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। তাহলে তেলজাতীয় পদার্থ ঝরে যাবে।
>> মাংস সবসময় অল্প তেলে রান্না করুন। কারণ গরুর মাংসের নিজস্ব যে তেল আছে; তাতেই অনেকটা কাজ হয়ে যায়। সয়াবিনের বদলে সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
>> গরুর মাংস সবজির সঙ্গে রান্না করুন। আলু, পেঁপে, পটল, ফুলকপি দিয়ে রান্না করতে পারেন গরুর মাংস। অনেকে আবার গরুর মাংস রান্নায় চুইঝাল আর আস্ত রসুন পছন্দ করেন। সেটিও আপনার গরুর মাংসে যোগ করবে আলাদা মাত্রা।
>> গরু ও খাসির মাংস রান্না করার সময় এটি সেদ্ধ হতে অনেকটা সময় লাগে। এর সহজ সমাধান হলো- পেঁপে, আনারস, নাশপাতি বেটে, লেবু, ভিনেগার, দইয়েও সব মসলা দিয়ে মাংস ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রান্না করুন। তাহলে দ্রুত মাংস সেদ্ধ হবে।
>> রান্নার আগে মাংসে বেশি করে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন। লবণ মাংসের শক্ত মাসল ফাইবার সহজেই ভেঙে ফেলে। তাই মাংস নরম হয়ে যায় ও সহজে সেদ্ধ হয়ে যায়।
>> মাংসে টেস্টিং সল্ট, সয়া সস এগুলো না ব্যবহার করাই ভালো। মাংস বারবার গরম করতে নেই। এতে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে ক্ষতিকর উপাদান ও জটিল প্রোটিন তৈরি হয়।
>> গরুর মাংস ভুনা না করে আরও ভালো হয় তেল ছাড়া বেক, গ্রিল, স্টেক করে খেতে পারলে। সেখানে চর্বি প্রায় থাকে না বললেই চলে।
>> মাংসের সঙ্গে প্রচুর সালাদ খান। খাওয়া শেষে কোমল পানীয় পান করবেন না। কোল্ড ড্রিংকস ও ডেজার্টের পরিবর্তে মাঠা, জিরা পানি বা টকদই খান।
জেএমএস/এমএস