ভুড়ি কমাবে যে ৮ অভ্যাস
পেটের চর্বি বা ভুড়ি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ভুড়ি। নারী-পুরুষ উভয়েরই পেটে ভুড়ি থাকলে, যেকোনা পোশাক পরলে বেমানান লাগে। তাই পেটে চর্বি জমলে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। শরীরের বিভিন্ন স্থানের চর্বি কমানোর চেয়ে পেটের ভুড়ি কমানো বেশ কষ্টকর।
ডায়েট ও শরীরচর্চা করার পরও বেশ কয়েকটি বিষয় না মানার কারণে ভুড়ি সহজে কমে না। জানেন কি, কয়েকটি অভ্যাস আছে; যেগুলো মেনে চললেই আপনার পেটে ভুড়ি জমবে না, আর ভুড়ি থাকলেও তা দ্রুত কমতে শুরু করবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভুড়ি কমানোর
খাবারে মনোযোগ দিন: ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত, খাওয়ার সময় যদি খাবারের প্রতি মনোযোগ দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খাওয়া হয়; তাহলে সেটা হজম হবে অনেক তাড়াতাড়ি।
কারণ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক তা টের পায় না। এতাই আপনি বেশি খেয়ে ফেলতে পারেন। এতে ওজন ও ভুড়ি দু’টোই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শান্ত থাকুন: দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ কখনো শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই যতটা সম্ভব মনকে শান্ত রাখুন। না হলে শরীরের মেটাবলিজম হার কমে যাবে। ফলে ঘুম কমে যাবে এমনকি খাবারও হজম হতে দেরি হয়। বিশেষ করে খাওয়ার সময় এবং ঘুমের আগে।
সোজা হয়ে বসুন: অনেকেই দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করে থাকেন। এ সময় কুঁজো হয়ে বসেন অনেকেই। দীর্ঘক্ষণ এভাবে বসলে পেটের পেশিগুলো ঝুলে যায়। এর ফলে পেটের ভুড়ি বেড়ে যায়। তাই খেয়াল রাখুন, বসার সময় শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে।
সঠিকভাবে ব্যায়ামে করুন: অনেকেই পেটের মেদ কমাতে ব্যায়াম করে থাকেন। তবে তা সঠিকভাবে করা জরুরি। না হলে পেটের মেদ কমবে না।
তার কারণ যে কোনো ব্যায়াম করার সময়ে পেটের পেশিগুলো টানটান রাখতে হয়। এ সময় পেট ভিতরের দিকে টেনে ব্যায়াম করতে হবে। না হলে পেটের উপর চাপ পড়বে না।
পেটের ব্যায়াম করুন: শুধু কার্ডিও করলে হবে না। হিট (হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিং) করতে হবে। তা ছাড়াও পেটের ব্যায়াম করতে হবে। প্ল্যাঙ্ক বা ক্রাঞ্চেস করা প্রয়োজন।
ইয়োগা করুন: যোগব্যায়ামেও পেটের মেদ কমানো সম্ভব। ধনুরাসন, ভুজাঙ্গাসন, উস্ত্রাসনের মতো বেশ কিছু আসন আপনাকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
ফাইবার আর ভালো ফ্যাট: পেটের ভুড়ি কমানোর জন্য ফাইবার ও ভালো চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার বিকল্প। নেই। শাক-সবজি-ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ খাবার।
তেল-মশলাও কম করে খেতে হবে। না হলে শরীরে ফ্যাট বার্ন হবে না। বাদাম, এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, ঘি এসব খাবারে সঙ্গে রাখুন। এসবে ভালো ফ্যাট থাকে।
লবণ ও চিনি কম খান: লবণ যত শরীরে যাবে; ততই শরীর বেশি পরিমাণে জল ধরে রাখবে। এর ফলে ভুড়ি আরও বেড়ে যাবে। তাই মেপে লবণ খান। কম সোডিয়াম আছে, এই ধরনের লবণ খেতে পারেন।
অন্যদিকে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মিষ্টি খাবার খেলে ক্ষুধা আরও বাড়তে থাকে। তাই চিনির বদলে মধু, গুড় বা মিষ্টি ফল খেতে পারেন।
সূত্র: প্রিভেনশন
জেএমএস/জেআইএম