যেভাবে তিসি খেলে দ্রুত কমবে ওজন
ফ্লেক্সসিড বা তিসি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, তিসিতে আছে পুষ্টিকর বিভিন্ন উপাদান। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং লিগানানসসমৃদ্ধ এই ছোট বীজ হজমশক্তি বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও এই বীজ ওজন কমাতে সহায়তা করে।
তিসিতে উচ্চ মাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড আছে এবং এটি প্রোটিনসমৃদ্ধ। তিসির ক্ষুদ্র বীজে আরও পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব খনিজ যেমন- থায়ামিন, তামা, মলিবডেনাম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফেরুলিক অ্যাসিড, সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইডস, ফাইটোস্টেরলস এবং লিগানানস।
কীভাবে তিসি বীজ ওজন কমায়?
প্রোটিনের ভালো উৎস তিসি বীজ। ১০০ গ্রাম তিসিতে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। শরীরের কোষ মেরামত
এবং পেশী গঠনে সহায়তা করে তিসি বীজে থাকা প্রোটিন। ক্ষুদ্র বাদামি রঙা এই বীজে মুচিলেজ নামক ফাইবারে ভরপুর থাকে। সবাই নিশ্চয় কমবেশি জানেন, ওজন কমাতে ফাইবারজাতীয় খাবারের বিকল্প নেই।
আঁশযুক্ত খাবার খেলে ক্ষুধা কমে। আর তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। প্রতিদিন খাবারের আগে এক চা চামচ তিসির গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে পান করলে দ্রুত ওজন কমে। এটি দ্রুত পেট ভরায় ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
তিসি যেভাবে খাবেন- প্রথমে একটি পাত্রে এক গ্লাস পানিতে তিসির গুঁড়ো মিশিয়ে চুলায় কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। তারপর নামিয়ে লেবুর রস ও গুড় মিশিয়ে পান করুন। চাইলে গুড় বাদ দিতে পারেন। প্রতিদিন এভাবে খেলে দ্রুত পরিবর্তন টের পাবেন।
তিসি খাওয়ার সঠিক উপায়
বাজারে দু’ধরণের তিসি পাওয়া যায়- হলুদ এবং বাদামি। দু’টোই সমান পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি তিসির বীজ বিভিন্ন খাবারে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় গুঁড়ো করে সালাদ বা পানিতে মিশিয়ে খাওয়া।
তিসির উপকারিতা
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় তিসি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের স্তরকে কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি সেবন করতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করে তিসিতে থাকা পুষ্টিগুণ।
সতর্কতা
নিম্ন রক্তচাপ, নিম্ন রক্তে শর্করার মাত্রা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, হরমোনজনিত সমস্যা এবং রক্তপাতের সমস্যায় যারা ভুগছেন; তারা তিসি খাবেন না। খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস