ঘরের যেসব স্থান অপরিষ্কার থেকে যায়
করোনাকালে সবসময় ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাতে হবে সবাইকে। তবে নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা হলেও কিছু স্থান আছে, যেখানে সবসময় অপরিষ্কারই থেকে যায়।
ভাবতে পারেন, প্রতিদিনই তো ঘর ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে মোছাও হচ্ছে; তবুও কীভাবে অপরিষ্কার থাকছে ঘর? কারণ আপনার চোখ ঘরের ওই অপরিষ্কার স্থানে পড়ে না! জেনে নিন ঘরের কোন স্থানগুলো অপরিষ্কার থেকে যায়-
>> খাট, সোফা, টেবিল, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল এসব আসবাবের নীচে প্রচুর ময়লা জমে থাকে। কারণ নিয়মিত এসবের কোণায় বা নিচে পরিষ্কার করা হয় না। এই স্থানগুলো পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা ডাস্টারের সাহায্য নিতে হবে।
>> অনেকদিন ধরে আসবাবের নীচ অপরিষ্কার থাকার কারণে মাকড়সা জাল তৈরি করে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার আপনার মুশকিল আসান করতে পারে।
>> ঘরের মেঝেতে ময়লা জমলে তা দেখা যায় এবং পরিষ্কারও করে থাকি। তবে দেওয়ালেও কিন্তু ধুলো ময়লা জমতে পারে। বিশেষ করে ডিজাইন বা কারুকাজ করা দেওয়ালগুলো বেশি নোংরা হয়। এক্ষেত্রে দেওয়াল পরিষ্কার করা জরুরি।
>> ডাস্টারের সাহায্যে এমন দেওয়াল পরিষ্কার করতে পারেন। এ সময় লাইটের আনাচ-কানাচ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। এ ছাড়াও সুইচ বোর্ড, পাওয়ার আউটলেট ও দরজার হ্যান্ডেলও কিন্তু অপরিষ্কারই থেকে যায়।
>> রান্নাঘর বা বাথরুমের বেসবোর্ডগুলোও দীর্ঘদিন অপরিষ্কার থেকে যায়। এসব পরিষ্কারের জন্য অল্প ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। কারণ রান্নাঘর বা বাথরুমের আর্দ্রতার কারণে শুকনো ধুলো কাদায় পরিণত হতে পারে।
>> দরজা, ক্যাবিনেট, ছবির ফ্রেমের ওপরের অংশগুলোও অপরিষ্কার থেকে যায়। কারণ নিয়মিত পরিষ্কারের হাত থেকে এই ছোট ছোট স্থানগুলো বঞ্চিতই থেকে যায়।
>> ফ্যান, এসির ওপরের অংশ ঝেড়ে দিলেও, ব্লেড পরিষ্কার করার কথা অনেকের মাথাতেই আসে না। তাই একটি কাপড় দিয়ে পাখার ব্লেডও ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
>> যেসব যন্ত্রপাতি দিয়ে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখেন; সেগুলো পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর এগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে রাখুন।
>> ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে ফিল্টারও থাকে, যাকে মাসে একবার পরিষ্কার করা বা পরিবর্তন করা জরুরি। আবার ভ্যাকুয়ামের রোটারি বার ও ব্রাশ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
জেএমএস/জেআইএম