প্রতিদিন কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত
খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে। রমজান মাস খেজুরের কদর অন্যান্য সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ সময় কমবেশি সবাই খেজুর খেয়ে থাকেন।
খেজুরে অত্যাধিক পুষ্টিগুণ আছে। মিষ্টি ফল হলেও ফাইবার সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালোরি হওয়ায় খেজুর ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে খেজুর।
একটি খেজুরে পুষ্টির মান থাকে-কার্বস ৪৪ শতাংশ, ডায়েটারি ফাইবার ৬.৪-১১.৫ শতাংশ, প্রোটিন ২.৩-৫.৬ শতাংশ, চর্বি ০.২-০.৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও এতে থাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন আছে। জেনে নিন খেজুর খেলে শরীর যেভাবে উপকৃত হয়-
ফাইবারসমৃদ্ধ: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে খেজুরে। এটি গ্রহণের ফলে অন্ত্রের শোষণ প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে যায়। এ কারণে দীর্ঘসময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে।
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরিতে সহায়তা করে। যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং শেষ পর্যন্ত বিপাকক্রিয়াও উন্নত করে।
আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ: সব ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ নয়। খেজুরে উপস্থিত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে।
বিভিন্ন কারণে আঘাত পাওয়া, ফোলাভাব, অস্বাস্থ্যকর খাবারের খাবার গ্রহণের কারণে ঘটে হওয়া প্রদাহ নাশ করে এ উপাদানটি।
প্রোটিনের উৎস: একটি খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আর প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সবারই জানা। পেশী তৈরি এবং মেরামত করতে সহায়তা করে প্রোটিন।
ওজন কমায়: ওজন কমাতে সাহায্য করে খেজুর। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। এই মিষ্টি ফল খেলে আপনার অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতিও আগ্রহ কমবে।
সতর্কতা: খেজুরের নানা উপকারিতা থাকলেও সকাল বিকাল খেজুর খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই বিপদের কারণ হতে পারে। দিনে ৪-৫টি খেজুর খেতে পারে। এতে স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে।
৪-৫টি বা ১০০ গ্রাম খেজুরেই মিলবে প্রায় ২৭৭ ক্যালরি। প্রচণ্ড মিষ্টি হওয়ার কারণে এ ফল যদি বেশি খেতে থাকেন; তাহলে ওজন কমার বদলে দ্রুত বাড়তেও সময় লাগবে না।
ফলের সালাদ বা ডেজার্টে কাটা খেজুর যোগ করতে পারেন। এক গ্লাস উষ্ণ দুধের সঙ্গেও খেজুরের টুকরো মিশিয়ে খেতে পারেন। টকদই, কাস্টার্ড, চাটনি, কেকে মিশিয়েও খেজুর খেতে পারেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম