ব্রণের দাগ ও অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে বেসনের ব্যবহার
যুগ যুগ ধরে রূপচর্চার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বেসন। ত্বকের যত্নে দারুন কার্যকরী এ উপাদানটি। ত্বকের ময়লা দূর করার পাশাপাশি ব্রণ, সানট্যানসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন বেসন।
এ ছাড়াও ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন এ উপাদানটি। ত্বকের যত্নে বেসন ব্যবহারের সঠিক উপায় জানা নেই অনেকেরই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
>> সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বের হলেই ত্বকের খোলা স্থানে সানট্যান পড়ে থাকে। এর থেকে ত্বককে রক্ষা করতে ব্যবহার করতে পারেন বেসন। এজন্য ২ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ দই ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এক চিমটি হলুদ এবং লবণও মিশিয়ে দিতে পারেন। প্যাকটি আপনার মুখ, ঘাড় ও হাত-পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকটি ত্বকে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
>> ব্রণ দূর করতেও আপনি বেসন ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটি বাটিতে ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। এ প্যাকটি আপনার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন।
>> অবাঞ্ছিত লোম দূর করার প্রাকৃতিক সমাধান হলো বেসন। এজন্য সমপরিমাণ বেসন ও মেথি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য পানি বা গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
ত্বকের যেসব স্থানে অবাঞ্ছিত লোম আছে; সেখানে এ মিশ্রণটি ব্যবহার করে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর আঙুল দিয়ে ওই স্থানে একটু ঘষা দিলেই লোম উঠে যাবে।
>> শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানেও বেসন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য ১ চামচ চা বেসন, ১ চা চামচ জলপাইয়ের তেল, ৩ ফোঁটা লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণ পুরো মুখে ব্যবহার করে ৫ মিনিট স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন।
>> ব্রণের দাগ দূর করতে ১ টেবিল চামচ বেসন, ২ টেবিলচামচ কাঁচা দুধ ও ১ চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। ২৫ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
>> প্রতিদিন কখনো মুখে ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন না। তৈলাক্ত ত্বকে বেসনের এসব প্যাক সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন প্যাক ব্যবহারেই উপকার মিলবে। তবে বেসন প্রতিদিন মুখ পরিষ্কারের জন্য ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: ফেমিনা
জেএমএস/জেআইএম