বসন্তে রুক্ষ্ম চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে
শীতের শেষ, আর গরমের শুরু। এমন সময় শরীর, ত্বক ও চুলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য এ সময় শারীরিক যত্ন নেওয়া জরুরি।
ত্বক শুষ্ক ও ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি এ সময় চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ্ম ও প্রাণহীন। এ ছাড়াও চুল পড়া, আগা ফাটা ইত্যাদি সমস্যা তো রয়েছেই।
ঋতুবদলের এ সময় ঝলমলে আর প্রাণবন্ত চুল পেতে প্রয়োজন সঠিক পরিচর্চা। জেনে নিন কিছু সঠিক নিয়ম, যা মেনে চললে আপনার রুক্ষ্ম চুলে ফিরবে প্রাণ-
>> গরম পড়া শুরু হওয়ায় মাথার ত্বক ঘামতে শুরু করে। এতে চুল স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে এবং দ্রুত ময়লা হয়ে যায়। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চুল পরিষ্কার রাখাটাও জরুরি।
>> তবে চুল পরিষ্কারের জন্য হেভি কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। এতে চুল স্বাভাবিক তৈলাক্ততা হারাবে এবং আরও রুক্ষ্ম হয়ে পড়বে।
>> চেষ্টা করুন চুলে যাতে ধুলা-ময়লা কম পড়ে। প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার সময় মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
>> শীতে কমবেশি সবাই খুশকিতে আক্রান্ত হন। তাই গরমের শুরুতেই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে শ্যাম্পু করার আগে মাথার ত্বকে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে নেবেন। মেথি ও লেবুর রসও খুশকি দূর করতে বেশ সহায়ক।
>> তবে লেবুর রস বা অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু লাগালে অবশ্যই চুল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন। এগুলো মাথার ত্বক ও চুল শুষ্ক করে ফেলে।
>> ভেজা চুল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো।
>> গরমকালে রোদ থেকে চুলকে বাঁচাতে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ২টি ডিমের কুসুম এবং ২ টেবল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পুরো চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে শাওয়ার ক্যাপ পরে আধা ঘণ্টা রাখুন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।
>> চুলে ভেতর পর্যন্ত পুষ্টি পৌঁছাতে হট অয়েল ম্যাসাজের বিকল্প নেই। আর যেহেতু এ সময়, দু’এক দিন পর পরই শ্যাম্পু করা প্রয়োজন; তাই তেল না লাগালে চুল রুক্ষ্ম হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। তাই একদিন পর পর রাতে বা শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথায় ক্যাস্টর অয়েল হালকা গরম ম্যাসাজ করুন।
জেএমএস/জেআইএম