হিজাবের কারণে চুল পড়ে? জেনে নিন রোধের উপায়
শীতের আমেজ শেষ দিকে। গরম আসার পালা। এসময় হিজাবি নারীদের পরতে হয় নানা সমস্যায়। চুলের গোড়া ঘেমে তৈলাক্ত হওয়ার কারণে স্ক্যাল্পে বিভিন্ন র্যাশ দেখা দেয়। সেই সঙ্গে চুল পড়ার সমস্যাও বাড়তে থাকে।
হিজাবিদের অনেকেই মনে করেন, চুল তো হিজাবের নিচেই ঢাকা থাকবে; তাই যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি ভুল ধারণা। এ কারণে অযত্নে চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ে। অন্যদিকে নতুন চুল না গজানোর কারণে মাথার বিভিন্ন স্থানে টাক পড়তে পারে।
এজন্য হিজাবিদের উচিত অন্যদের তুলনায় চুলের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া। চুলের যত্ন নিলে তৈলাক্ত স্ক্যাল্প, চুলকানি, র্যাশ ও চুলের বাজে গন্ধ দূর হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হিজাবিদের চুলের যত্নবিষয়ক কিছু টিপস-
>> অন্যদের তুলনায় হিজাবিদের উচিত দু-একদিন অন্তর চুল পরিষ্কার করা। চুল লম্বায় বড় হলে দু-তিনদিন পরপর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে।
>> আপনার চুলের ধরন কোনটি তা জেনে চুলের জন্য উপযুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, চুল ভালো রাখতে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং সিরাম ব্যবহারের বিকল্প নেই।
>> হিজাব পরার আগে অবশ্যই চুল শুকনো কি-না তা লক্ষ্য করুন। ভেজা চুল বা ঘেমে যাওয়া মাথায় কখনো হিজাব পরবেন না। জরুরি প্রয়োজনে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকিয়ে নিন।
>> সপ্তাহে অন্তত দুদিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন চুলে। এজন্য অবশ্যই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করবেন। যেমন-মেথি, কলা ও ডিম।
>> প্রতিবার চুল পরিষ্কারের আগে তেল ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে নতুন চুল গজাবে দ্রুত।
>> হিজাব পরার সময় অনেকেই চুল খোঁপা করে নেন। দীর্ঘসময় খোঁপা করা থাকলে ওই স্থান ঘেমে যায়। ফলে চুলকানি ও র্যাশ দেখা দিতে পারে। এজন্য মাঝে মধ্যে চুল বেণী করেও হিজাব পরতে পারেন।
>> ঘুমানোর সময় সিল্ক বা সাটিন কাপড়ের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে চুলের সিবাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্যথায় চুল প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারাবে।
>> চুল আঁচড়ানোর জন্য বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে চুলের জট সহজভাবে ছাড়ানো যায় এবং চুলও কম পড়ে।
>> তিন মাস পরপর চুলের আগা ছেঁটে নেবেন। এতে চুল আগা ফাটার সমস্যা থেকে বাঁচবে।
>> হিজাবের নিচে ক্যাপ পরলে অবশ্যই সেটি পরিষ্কার না করে পরের দিন পরবেন না। আবার একই হিজাব দুদিনের বেশি অপরিষ্কার অবস্থায় পরা উচিত নয়।
>> হিজাবের কাপড় ভালো না হলে চুল পড়তে পারে। এজন্য ব্যবহারের সময় অবশ্যই সুতি, সিল্ক, সাটিন, জর্জেটের হিজাব পরবেন।
>> খুব টাইট করে হিজাব পরবেন না। এতে মাথাব্যথা করতে পারে সেই সঙ্গে চুলেরও ক্ষতি হয়।
>> যদি হিজাব পরার কারণে চুল বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জেএমএস/এএসএম