মনের মানুষের বিশ্বস্ততা বুঝবেন যেসব লক্ষণে
একটি সম্পর্কে বিশ্বাস যতটা থাকবে; ততটাই গভীর হবে বন্ধন। বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য নিজেও সৎ থেকে যেমন প্রেমিকের বিশ্বাস বাড়াতে হবে; ঠিক প্রেমিকেরও উচিত আপনার বিশ্বাসের মূল্যায়ন করা।
সব নারী ও পুরুষই চায়, তাদের জীবসঙ্গী যেন বিশ্বস্ত হয়। সম্পর্কে প্রতারণা নারী বা পুরুষ কারও কাম্য নয়। তবুও অনেক সময় পরকীয়ায় ঝুঁকে পড়েন অনেকেই। এতে বিশ্বাসে ফাটল ধরে। আর তারপরই ঘটে বিচ্ছেদ।
এজন্য আপনার মনের মানুষটি কতটা বিশ্বস্ত তা বুঝে নেওয়ার রয়েছে কয়েকটি লক্ষণ। চাইলেই মিলিয়ে নিতে পারেন আপনার ভালোবাসার মানুষ কতটা বিশ্বস্ত-
>> যেসব পুরুষরা বিশ্বস্ত এবং ভরসাযোগ্য হন; তারা কখনো ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য খুব একটা অনুরোধ করেন না। আবার পরিকল্পনা করে রোমান্টিক ডেটও করেন না। ১০-২০ মিনিট সঙ্গীকে নিজের কাছে পেলেই এমন ব্যক্তিরা খুশি থাকেন।
>> আপনার সঙ্গীর পরিবার আপনাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন কি? তাহলে তো ভালোই। প্রেমিকের বাড়িও মাঝে মধ্যে যেতেই পারেন। দু’জনের মতো বসে কথা বলতে পারেন। এমনকি প্রেমিক কোথাও গেলেও আপনার উপর ভরসা করে চাবি দিয়ে যেতে পারেন। এমন পুরুষদের উপর ভরসা করা যায়।
>> বিশ্বস্ত সঙ্গী গুড নাইট কিংবা গুড মর্নিং বলতে কিংবা খেয়েছেন কি-না তাও জানতে চায়। সেই সঙ্গে আপনার কাজ কেমন চলছে, তা জানতেও কিন্তু তিনি ভোলেন না। ব্যস্ত থাকলেও ২ মিনিটের জন্য হলেও একটা ফোন করেন।
>> সারাদিন আপনি কী করছেন, এসব জানতে চায় বারবার। আপনি কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন সেদিকে তার কড়া নজর আছে। এমনকি আপনি কার সঙ্গে মিশছেন এসব বিষয়েও বিশ্বস্ত সঙ্গী খোঁজ রাখেন।
>> ‘আপনাকেই এ কাজটি করতে হবে’ বা ‘সে কেন কাজটি করবে’, ‘এটা তো তার কাজ নয়’-এমন কথা কখনো বিশ্বস্ত সঙ্গীরা বলেন না। তাদের মধ্যে লিঙ্গ ভেদাভেদ নেই। সত্যিকার প্রেমিক এসবের ধার ধারেন না।
>> এমন সঙ্গীরা কখনো প্রিয়জনের কাছে কোনো কিছু লুকান না। অতীত নিয়ে কিংবা সুবিধা-অসুবিধা, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছ্যন্দের কথা সবই আপনাকে খুলে বলবে। এর অর্থ হলো তিনি আপনাকেও ভরসা করেন আর বিশ্বাসও। তাই এসব গুণ দেখলেই বুঝে নেওয়া যায়, মনের মানুষটি আসলে কতটা বিশ্বস্ত।
রেলরুলস/জেএমএস/এএসএম/এমএস