রান্নার কাজে কোন ধরনের পাত্র বেশি স্বাস্থ্যকর?
প্রতিদিনের দরকারি জিনিসগুলোর একটি হচ্ছে বাসনপত্র। কারণ রান্না এবং খাওয়ার কাজ এগুলো ছাড়া সম্ভব নয়। খাবার পুষ্টিকর কি-না, সেদিকে খেয়াল রাখা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি কোন পাত্রে রান্না হচ্ছে- সেদিকেও খেয়াল রাখা। কারণ, আমরা রান্নার কাজে যেসব মেটেরিয়ালের তৈরি বাসনপত্র ব্যবহার করে থাকি তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না-ও হতে পারে।
আমরা যখন রান্না করি তখন রান্নার পাত্রের মেটেরিয়াল গরম হয়ে খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া কিরে ক্ষতিকর উপাদান তৈরি করতে পারে। যা শরীরে প্রবেশ করাটা মোটেই কাম্য নয়। কোন ধরনের পাত্রে রান্না করলে তা নিরাপদ হবে, চলুন জেনে নেয়া যাক-
স্টেইনলেস স্টিল
বিশ্বের নামী-দামী সব তারকাও কিন্তু রান্না-খাওয়ার কাজে স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করে থাকেন। এর কারণ হলো স্বাস্থ্য সচেতনতা। এ জাতীয় পাত্রী আপনি যেকেনো তাপমাত্রায় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে খাবার রান্না করলে খাবারের গুণ প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব। তবে নিকেল কিংবা ক্রোমিয়াম কোটিং দেয়া পাত্র কিনবেন না। এগুলো রান্নার সময় খাবারের সঙ্গে মিশে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কাস্ট আয়রন
এ ধরনের পাত্রের ব্যবহার এখন হয় না বললেই চলে। কিন্তু আরও আগে লোহার কড়াই-খুন্তি ব্যবহারের চল বেশি ছিল। ভারী, তবে রান্নার জন্য এই পাত্র স্বাস্থ্যকর। দ্রুত গরম হয় বলে এই পাত্রে রাঁধতে সময় লাগে খুবই কম। গ্রিলড ফুড বা শ্যালো ফ্রায়েড খাবার পছন্দ হলে এ ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে পারেন রান্নার কাজে।
পিতল কিংবা কাঁসা
নানি-দাদিদের সময়ে এই ধরনের বাসনপত্রের ব্যবহারের প্রচলণ ছিল। কিন্তু ভারী আর মাজতে অসুবিধা তাই বর্তমান আধুনিক জীবনযাপনে এর ঠাঁই নেই। কিন্তু আপনি জানেন কি, এ ধরনের বাসনপত্রে রান্না করলে খাবারের খাদ্যগুণ ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত অটুট থাকে। তবে অ্যাসিডিক প্রপার্টিজ বেশি রয়েছে, এমন খাবার এই পাত্রে রান্না না করাই ভালো।
কাঁচ
যত উচ্চ তাপমাত্রায়ই ব্যবহার করা হোক না কেন, কাঁচের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না বা খাবার তৈরির জন্য কাঁচের তৈরি পাত্র ব্যবহার করুন। তবে এই ধরনের পাত্র কখনো সরাসরি গ্যাসে বসিয়ে রান্না করতে পারবেন না।
মাটি
মাটির বাসন গরম হতে খুব সময় নেয়, তাই খাবারের মধ্যে ময়েশ্চার ধরে রেখে তা খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখবেন, মাটির বাসন কেনার সময় আনগ্লেজড বাসন কিনবেন। গ্লেজিং করার সময় যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্যকর না-ও হতে পারে।
এইচএন/এএ/জেআইএম