ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

জন্মের পরই শিশু কেঁদে ওঠে কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০

নবজাতক তার পৃথিবীতে আগমনের বার্তা দেয় কান্নার মাধ্যমে। আশেপাশের সবাই খুশি থাকলেও শিশুটি একা তখন কাঁদে। জন্মের পরপরই সে উচ্চস্বরে কাঁদতে শুরু করে। খেয়াল করে দেখবেন, জন্মের পরে শিশু না কাঁদলে তার পেছনে থাপ্পড় দিয়ে তারপর কাঁদানো হয়। এগুলো খুব পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন, শিশু জন্মের পরই কেঁদে ওঠে কেন? আবার না কাঁদলে তাকে কাঁদানোর জন্য এত তাড়াহুড়ো কেন? শিশু জন্মের কেন কেঁদে ওঠে এবং তা কতটা জরুরি তা প্রকাশ করেছে বোল্ডস্কাই।

Sisu

যে কারণে শিশুর জন্মের পরই কান্না জরুরি
শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন সে মায়ের গর্ভ থেকে সে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শিশু যদি জন্মের পরপরই চিৎকার করে কেঁদে ওঠে তবে বোঝা যায় তার হার্ট ও ফুসফুস ঠিকভাবে কাজ করছে। শিশুর কান্না দেখে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। শিশু উচ্চস্বরে কাঁদলে তার মানে হলো সে পুরোপুরি সুস্থ। তবে শিশুটি যদি খুব ধীর গলায় কান্নাকাটি করে, তাহলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

Sisu

কান্নার কারণ
জন্মের আগ পর্যন্ত শিশু মায়ের শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভিরজ্জুর মধ্য দিয়ে শ্বাস নেয়। জন্মের কয়েক সেকেন্ড পরে শিশু নিজে থেকেই শ্বাস নেয়া শুরু করে। শিশু যখন গর্ভের বাইরে আসে তখন হৃদপিণ্ডের শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ শরীরের বিভিন্ন ফ্লুইড নিঃসরণের কারণে আটকে যায়। আর তখনই শিশু চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। এই কান্নার ফলেই পরিষ্কার হয় তার শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ। এরপর শিশু স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।

Sisu

কতক্ষণ কাঁদা উচিত?
শিশুর কান্না অনেকের কাছে উদ্বেগের মনে হলেও আসলে সবক্ষেত্রে তা নয়। বরং দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় কাঁদা শিশুর জন্য স্বাভাবিক। অনেকগুলো গবেষণা থেকে এ তথ্য মিলেছে যে, স্বাস্থ্যকর শিশুর একদিনে বা ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা কাঁদা উচিত। তবে, যদি শিশু চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কান্নাকাটি করে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। শিশু যত বড় হবে তত তার কান্নার সময়ও কমতে শুরু করবে।

এইচএন/এএ/জেআইএম

আরও পড়ুন