ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে কি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২০

শরীর ভালো রাখার জন্য নিয়ম করে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার অভ্যাস করেন অনেকে। স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা দূর করতে এটি কার্যকরী। এটি শরীরের বাড়তি ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে, বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়। হৃদপিণ্ড, উচ্চ রক্তচাপ এবং হাঁপানির সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে কার্যকরী উপায়। এমনটাই জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তবে এই না খেয়ে থাকার কার্যকারিতা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে কি তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে?

jagonews24

সত্যিটা কী?
দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা পুষ্টি জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ডায়েট ট্রেন্ডের জনপ্রিয়তা দেখেই এর অগণিত স্বাস্থ্য সুবিধার বিষয়টি বুঝতে পারা যায়।

তবে যখন আমরা না খেয়ে থাকা এবং শরীরের ডিটক্সিফিকেশন সম্পর্কে কথা বলি, তখন খেয়াল রাখা জরুরি যে আমরা ইন্টারনেটে এ সম্পর্কিত যা কিছু পড়ি বা চারপাশের লোকজনের কাছ থেকে যা কিছু সেগুলো সম্পূর্ণ সত্য নয়। না খেয়ে থাকার বিষয়টি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়তা করতে পারে, আমাদের দেহের এই নির্দিষ্ট কাজের জন্য একটি সম্পূর্ণ সিস্টেম রয়েছে।

jagonews24

লিভার এবং কিডনি উভয়ই আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণ এবং আমাদের সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত কাজ করে। শরীর ঠিকঠাক কাজ করছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস করা উচিত।

সতর্কতা
নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকার মাধ্যমে শরীরকে ডিটক্সাইফাইড করার পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলেও শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়তা করতে পারে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনও মেলেনি। যদি আপনি এটি সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান ছাড়াই দীর্ঘ সময়ের জন্য না খেয়ে থাকেন তবে তা আপনার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

jagonews24

আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন তবে স্বাস্থ্যকর খাওয়া শুরু করুন। ডায়েটে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, ধূমপান এবং মদ্যপান এড়ান। এই ছোট ছোট কাজগুলো করা আপনার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট। বাকি দায়িত্ব আপনার লিভার এবং কিডনির ওপর ছেড়ে দিন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার জন্য আপনার শরীর কতটা উপযুক্ত তা জানার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এইচএন/এএ/এমএস

আরও পড়ুন