পানি পান করলে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে?
বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই এই সময়ে নিজের যত্ন নেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সামাজিক দূরত্বের অনুশীলন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং যথাসম্ভব ঘরে বসে থাকাই মারাত্মক ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।
এরপর যা করতে পারেন তা হলো স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। তাতে করে আপনি যদি কোনোরকমভাবে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন তবে আপনার দেহ তার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হবে। বেশ কয়েকটি খাবার এবং পানীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং রোগজনিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। অবাক করা বিষয় হলো, পানি আমাদের রোগ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কীভাবে উপকার করে তা জেনে নিন-
পানির গুরুত্ব: পানি জীবনের মূল প্রয়োজনীয়তা। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টিকর এবং খনিজ বহন করে এবং বর্জ্য বের করে দেয়। এছাড়াও এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
পানি যেভাবে সুস্থ রাখে: সাধারণভাবে কেউ অসুস্থ থাকলে বা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সময় তাদের হাইড্রেটেড রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। কারণ পানি আমাদের শরীর থেকে প্রাকৃতিকভাবে অসুস্থতাজনিত টক্সিন এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে।
পানি শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন বহন করতেও সহায়তা করে। ফলে শরীরের সঠিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্যকর এবং ফিট থাকার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হয়। অসুস্থ হলে পানি পানের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। শুধু পানি সবচেয়ে ভালো, তবে যদি আপনার দিনে আট গ্লাস পানি পান করতে অসুবিধা হয় তবে লেবু বা পুদিনা যোগ করতে পারেন। এগুলোও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
পুদিনা ও পানি: পুদিনা একটি মূল্যবান ঔষধি যা আয়ুর্বেদিক ওষুধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত পুদিনা ফ্রি র্যাডিকাল ক্রিয়াকলাপ রোধ করতে সহায়তা করে। এটি আমাদের শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়তা করতে পারে এবং এটি ত্বকের জন্যও ভালো।
লেবুপানি: লেবুতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং পটাসিয়ামও আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। দিনের শুরুতে একগ্লাস লেবুর রস মেশানো হালকা গরম পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর উপকারিতা বয়ে আনতে পারে।
এইচএন/জেআইএম