কোয়ারেন্টাইনে থেকে উন্নত হচ্ছে সম্পর্ক
সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে সব পরিস্থিতির মধ্য থেকেই খুঁজে বের করতে হবে ইতিবাচক দিক। আপনার চিন্তা-ভাবনা যত ইতিবাচক হবে, আপনার জীবনযাপন ততই সহজ ও সুন্দর হবে। করোনাভাইরাসের আতংকের কারণে অনেকরকম দুশ্চিন্তা আমাদের ঘিরে রাখছে। ভুগছে পুরো পৃথিবীর মানুষ।
গৃহবন্দি অবস্থায় মন খারাপ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু একইসঙ্গে এই অবস্থা আপনাদের দু’জনের সম্পর্কের কিছু ভালো দিকও তো সামনে নিয়ে আসছে। সেসব খুঁজে বের করলে ভালোলাগবে আপনারই। মিলিয়ে দেখুন তো-
লক্ষ্য করলে হয়তো দেখবেন, এই কোয়ারেন্টাইনে সঙ্গীর উপর আপনার নির্ভরশীলতা অনেক বেড়েছে। একইভাবে আপনার উপরেও তিনি আগের থেকে অনেক বেশি নির্ভর করছেন। হয়তো এতদিন মানসি ভাবে আপনারা একে অপরের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। এই দুর্দিনে আরও বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে।
একে অপরের প্রতি আরও বেশি সৎ হয়েছে বেশিরভাগ দম্পতি। সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকার ফলে আগে হয়তো এমন অনেক কথা ছিল যা না বললেও হত, এখন সে সব খুঁটিনাটি বলছেন একে অপরকে। আবার হয়তো রাগ বা অভিমান আগে লুকিয়ে রাখতেন অনেকটাই। এখন সে সব আর আড়ালে থাকছে না।
এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে রান্না কিংবা ঘরের অন্যান্য কাজ করছেন অনেক দম্পতি। কোথাও তাদের মধ্যে একটা টিম স্পিরিট তৈরি হয়েছে। আগেও হয়তো এই কাজগুলো করতেন তারা। কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে। নিজের নিজের সময় মতো। কোয়ারেন্টাইন বদলে দিয়েছে টাইম টেবিল। তাই টিম হিসেবে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে অনেক দম্পতির।
এখন হয়তো ছোট ছোট বিষয়ে সঙ্গীর প্রশংসা করছেন। আগে এসব ছোট ছোট জিনিস চোখে পড়তো না। কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। বাড়ির কাজ হোক বা জীবনের কোনো গভীর ভালোলাগা, ছোট ছোট অর্জনের প্রশংসা করছেন একে অপরের। এতে বাঁধন আরও মজবুত হচ্ছে।
আগের থেকে এখন অনেক বেশি মন দিয়ে শুনছেন প্রিয়জনের কথা। আগে হয়তো বিস্তারিত শোনার সময় হত না কারো। কোয়ারেন্টাইন সেই অবসর করে দিয়েছে। ফলে ছোট ছোট জিনিস থেকে ভালোবাসা খুঁজে নেয়ার দক্ষতা তৈরি হয়েছে দুজনেরই।
এইচএন/জেআইএম