রোজায় হালকা গরম পানি পান করবেন কেন?
রোজায় আমাদের শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ এসময় দিনের বেলা পানি পান করা সম্ভব হয় না। ইফতার ও সেহরির মধ্যে যতটুকু সময় পাওয়া যায়, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে সাধারণ ঠান্ডা পানি পান করার চেয়ে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার উপকারিতা অনেক বেশি। এটি নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার বয়ে আনে-
হজমশক্তি বাড়ায়: খাদ্য গ্রহণের পর ঠান্ডা পানি পান করলে খাদ্যের সাথে থাকা চর্বিগুলো জমিয়ে ফেলে। এতে পাকস্থলীর গাত্রে চর্বির স্তর জমতে থাকে। যা শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু গরম পানি তার উল্টোটা করে। এটা চর্বি ভেঙ্গে তা হজম বা নিঃসরণে সহায়তা করে। ফলে হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়।
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে: গরম পানি পানের অন্যতম উপকারিতা হলো এটা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে পেশী ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। পাশাপাশি বাড়তি চর্বি ভেঙ্গে ফেলায় এগুলো যথেষ্ট উন্নত হয়।
গলা ও নাসারন্দ্রের মধ্যে সমন্বয়: নিয়মিত গরম পানি পান করলে তা ঠান্ডা লাগা, কফ জমে যাওয়া এবং গলা ব্যথায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটা কফ তরল করে বের করে দেয়। গলা ব্যথা কমায়। এছাড়া নাসারন্দ্রের পথ পরিষ্কার রাখে। তাই এই রমজানে সুস্থ থাকতে হালকা গরম পানি পান করুন।
ওজন কমায়: হালকা গরম পানি আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে। ফলে কমবে ওজন।
শরীরের বর্জ্য বের করে দেয়: হালকা গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঘাম ঝরবে। ঘামের সাথেই শরীরের অনেক ধরনের বর্জ্য বের হয়ে যাবে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
ব্রণ দূর করে: ব্রণের সমস্যায় ভুগলে হালকা গরম পানি পান করার অভ্যাস করুন। হালকা গরম পানি বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখে। এতে ব্রণ ও ফুস্কুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই যারা ব্রণের সমস্যায় কাতর, তাদের উচিত গরম পানি পান করা।
চুল ভালো রাখে: গরম পানি চুলের গোড়ায় থাকা স্নায়ু কার্যকর করে চুল শক্ত করে। ফলে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে। এটি ফিরে পায় স্বাভাবিক জীবনীশক্তি। চুলের গোড়ার স্নায়ু সক্রিয় থাকায় চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। হালকা গরম পানি প্রতিদিনকার কার্যক্রম চালু রেখে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না: শরীরের বর্জ্য বের হতে না পারলে ত্বকের কোষ নষ্ট হয়। ফলে অকালে বয়সের ছাপ পড়ে। গরম পানি এই নষ্ট কোষগুলোকে ঠিক করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ত্বক কোমল হয় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়। তাই চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে হালকা গরম পানি পান করুন।
এইচএন/জেআইএম