বয়স্ক মা-বাবাকে নিয়ে চিন্তিত? জেনে নিন করণীয়
বাড়িতে মা-বাবা বা অন্য কেউ বয়স্ক থাকলে তাদের নিয়ে এখন আমাদের আলাদা দুশ্চিন্তা। এতদিনে নিশ্চয়ই সবাই জেনে গেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বয়স্করাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
কেন বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে? এর মূল কারণ দু’টি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বয়স্ক মানুষদের সুগার, প্রেশারের মতো নানা শারীরিক সমস্যা থাকে। তার মধ্যে এই নতুন ভাইরাসের আক্রমণের সামনে পড়ে শরীর একেবারেই নাজেহাল হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয়ত, তাদের প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতেই কমে আসে। কমতে থাকে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা, শরীর নতুন প্যাথোজেনের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না সাবলীলভাবে।
বয়স্কদের খুব সাবধানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যাদের বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা আছেন, তাদের বিশেষ কিছু সাবধানতা মেনে চলতে হবে-
আইসোলেশনের রীতি তাদের ক্ষেত্রে খুব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সাধারণত বয়স্ক মানুষদের নিজস্ব বন্ধুবান্ধবের দল থাকে, দীর্ঘদিন তাদের অদর্শনে তারা ব্যাকুল হয়ে পড়তে পারেন, বিরক্ত হতে পারেন। কিন্তু কিছু করার নেই, এই পরিস্থিতি আপনাকেই সামলাতে হবে।
বয়স্কদের বাইরে যাওয়া চলবে না একেবারেই। তাদের সঙ্গে গল্প করুন, একসঙ্গে রান্না করতে পারেন। শিশু আর বয়স্কদের একসঙ্গে রাখুন- তাতেও মন ভালো থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।
খুব বেশি খবর শুনলে কিন্তু ডিপ্রেশন বাড়বে। তার চেয়ে বই পড়া, সিনেমা দেখা বা গান শোনার অভ্যাস নিঃসন্দেহে ভালো। তাদের প্রিয় বইপত্র পড়ার ব্যবস্থা করে দিন।
ওষুধপত্র সময়মতো খাচ্ছেন কিনা দেখুন, শরীর ও মন, দুটিই ভালো থাকা দরকার। ঘরের মধ্যে নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। গায়ে যেন রোদ লাগে।
বাড়ির বাথরুম, দরজার হাতল, টেবিল চেয়ার বার বার মুছতে হবে স্যানিটাইজার দিয়ে। বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেবেন না বাড়িতে।
বয়স্করা খুব বেশি তাপমাত্রার তারতম্য সহ্য করতে পারেন না সাধারণত, তাই অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা, কোনোটাই যেন না লেগে যায় তা দেখতে হবে।
আমাদের দেশে রান্নায় যেসব মশলা ব্যবহার হয়, তা অ্যান্টিঅক্সিডান্টসমৃদ্ধ। তাই আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, কাঁচা হলুদ ফুটিয়ে পানীয় তৈরি করে লেবু মিশিয়ে চায়ের মতো খাওয়াতে পারেন।
লাল চা অ্যান্টিঅক্সিডান্টে সমৃদ্ধ, তাও খেতে দিতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, সামান্য সমস্যা হলেও ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।
এইচএন/জেআইএম