এই সময়ে এসি চালানোর ক্ষেত্রে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
যেহেতু গরমের সময়, এসি তো চালাতেই হয়। এদিকে সারাদিন বাড়িতে থাকার কারণে গরমটা একটু বেশিই অনুভূত হয়। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে মাঝেমাঝে তাপমাত্রা কমলেও আবার বেড়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ সময়। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রায় বিকেল পর্যন্ত ঘরে একটানা চালিয়ে রাখতেই হচ্ছে এয়ার কন্ডিশনার।
এসি থেকে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশির আশঙ্কা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এসির তাপমাত্রা বা আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ কতটা রাখা উচিত, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘরে এসি চালানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে, তাপমাত্রা যেন থাকে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তার চেয়ে কম বা বেশি তাপমাত্রা মোটেই কাম্য নয়। এসি চালানোর সময় দেখতে হবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা যেন থাকে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে।
‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ হিটিং, রেফ্রিজারেটিং অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার ইঞ্জিনিয়ার্সের তৈরি একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নির্দেশিকা বানানোর আগে কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্স এ অঞ্চলের জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্যাদি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করেছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, এসি নির্মাতা সংস্থা এবং ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নেয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এসির ঠান্ডা বাতাস চলাচলের সঙ্গে জানালা একটু খুলে রেখে বা এগজস্ট চালু রেখে বাইরের হাওয়া ঢোকার পথও খুলে রাখতে হবে।
শুকনো খটখটে আবহাওয়ায় আপেক্ষিক আর্দ্রতাকে কিছুতেই ৪০ শতাংশের নিচে নামতে দেয়া যাবে না। আর্দ্রতা এর নিচে নেমে গেলে ধরে পানিভর্তি একটা পাত্র রাখতে হবে। যাতে পানি বাষ্পীভূত হয়ে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়াতে পারে। এছাড়াও, ঘরে ফ্যান চালানোর সময় জানালা একটু খুলে রাখতে বলা হয়েছে।
অফিসে এসি চালানোর জন্য নির্দেশিকায় যতটা সম্ভব বাইরের হাওয়া ঢোকার রাস্তা খুলে রাখতে বলা হয়েছে। লকডাউনে বেশির ভাগ অফিসই বন্ধ রয়েছে বলে এই সময়েই এসির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ সেরে রাখতে বলা হয়েছে।
এইচএন/পিআর