সংসারের খরচ কমাবেন যেভাবে
চলমান এই বদ্ধ পরিস্থিতি আরও কতদিন থাকবে কেউ জানে না। এদিকে কতদিন বাজারে টাটকা ফল-সবজির জোগান অব্যাহত থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই আপাতত। আর্থিক অবস্থা নড়বড়ে হওয়ার একটা ভয় তো রয়েছেই। এই পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে না গিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে খুঁজে বের করতে হয় নানা বিকল্প পথ। খাবার সংরক্ষণ করে এবং ভক্ষণযোগ্য সবটুকুর ব্যবহার নিশ্চিত করে খরচ কমিয়ে আনা যায় অনেকটাই।
প্রথমেই যে কথাটা মনে রাখতে হবে তা হচ্ছে, খাবার সংরক্ষণের জন্য প্রথমে সেটি শুকিয়ে নেয়াটা জরুরি। শুকনো করার সেরা উপায় হচ্ছে রোদ। ধরুন আপনি বাজার থেকে ফুলকপি, মটরশুটি, গাজর জাতীয় সবজি কিনে এনেছেন। সেগুলো ধুয়ে, কেটে, রোদে শুকিয়ে নিন, তারপর ভ্যাকুম প্যাকে ভরে ডিপ ফ্রিজারে রেখে দিন। এই ফ্রোজেন সবজি অনেকদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
পাতলা করে আলু কেটে শুকিয়ে নিন এভাবে, কমলালেবু কেটে শুকিয়ে অরেঞ্জ চিপস বানাতে পারেন। বানানো যায় সান ড্রায়েড টমেটোও। মাশরুম কেটেও শুকনো করে পরে ব্যবহার করা যায়।
প্রতিদিনের রান্নায় যেসব গ্রেভি ব্যবহার হয়, সেগুলোও তৈরি করে এভাবে ফ্রিজ করে রাখতে পারেন। তবে ফ্রিজ করার আগে তা ঘরের তাপমাত্রায় আনতে হবে, আর দু’ ঘণ্টার বেশি বাইরে রাখবেন না।
শসা, গাজর, মুলো, বিট, পেঁয়াজের মতো কিছু সবজি আবার ভালো থাকে ভিনেগারের পানিতে। সেজন্য পানি আর ভিনেগার নিন সমান মাপে, তার সঙ্গে স্বাদমতো লবণ আর চিনি মেশান। মিশ্রণ ফুটিয়ে নিন ভালো করে, ঠান্ডা করে তাতে সবজি ভেজান। এর মধ্যে দারুচিনি, লবঙ্গ, মেশালেও খেতে ভালো লাগবে।
লবণ আর চিনিও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লবণ মাখিয়ে রোদে শুকনো করা শুঁটকি মাছ তো দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
ভালো ফল পেলে পিউরি বানিয়ে চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে রস শুকিয়ে নিন, কাজ চালানোর মতো জ্যাম তৈরি হয়ে যাবে।
ফলের পাল্প আর চিনির মিশ্রণ বানিয়ে রাখুন, স্মুদি তৈরিতে কাজে লাগবে। ফেলবেন না কোনো কিছুই। সবই নানাভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। কেবল একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে এই যা! এতে অল্প খরচে সংসার চলবে সহজেই।
এইচএন/পিআর