এই সময়ে প্রতিদিন ডিম খাবেন যে কারণে
এই সময়ে গৃহবন্দি প্রায় প্রত্যেকেই। খাবারের রুটিন বদলেছে, শরীরচর্চা হচ্ছে না বললেই চলে। এসব কারণে ওজন বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এ নিয়ে চিন্তায় পড়া স্বাভাবিক। একারণে প্রত্যেকেরই উচিত ফিট থাকার চেষ্টা করা। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
ঘরে বন্দি থেকে অনেকেই বাধ্য হয়ে ডিম খাচ্ছেন। আর আপনার বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে এই ডিম। অবাক হচ্ছেন? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডিমের কুসুমে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে। শরীরের মেটাবলিজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে আপনি যদি প্রয়োজন মনে করেন, ব্রেকফাস্টে দুটি ডিম খেয়ে নিতে পারেন। কখনো বা ডিনারে হালকা স্যুপের সঙ্গে মেনুতে রাখুন একটি ডিম।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে ফ্যাট জমে। বিশেষত পেটে মেদ জমে দ্রুত। ডিমের তুসুমে ভিটামিন ডি রয়েছে প্রচুর। তাই আপনার মেনুতে ডিম রাখলে পেটের মেদ কমবে দ্রুত।
ডিমের মধ্যে প্রচির পরিমাণে প্রোটিন থাকে। হাই প্রোটিন ডায়েট সব সময়ই ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে এনার্জি বাড়বে এবং পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে।
একটি প্রমাণ আকারের ডিমে ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। শরীরে ফ্যাটেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটা কখনও ভাববেন না, খাদ্য তালিকা থেকে ফ্যাট একেবারে বাদ দিয়ে দিলেই রোগা হওয়া বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই আপনার বয়স, ওজন, উচ্চতা, লাইফস্টাইল অনুযায়ী কতটা ফ্যাট প্রতিদিন প্রয়োজন, সেটা জেনে নিয়ে ডায়েটে ডিম যোগ করুন।
ব্রেন গ্রোথ বা ডেভলপমেন্টের জন্য ডিম খাওয়া জরুরি। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এর উপকারিতা প্রচুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, হেলথি ব্রেন ওয়েট কন্ট্রোল করতে পারবে। তাই আপনিও মেনুতে ডিম অবশ্যই রাখুন।
গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, দেহের থাইরয়েড হরমোনকে কন্ট্রোল করে ডিম। যা ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
ডিম যেহেতু সুস্বাদু এবং অনেকেরই পছন্দের পদ, তাই এটি মুড কন্ট্রোল করতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভালো মুড ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সহজে।
ডিমকে আপনি সুগার ফ্রি খাবারের তালিকায় ফেলতে পারেন অনায়াসে। ফলে চিনি থেকে ডায়েবেটিস, স্থুলতা, হাই ব্লাড প্রেশারের মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যাতে ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু ডিম খেলে সে সম্ভবনা নেই। ফলে ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।
এইচএন/পিআর