পিপিই ব্যবহার করবেন যেভাবে
করোনাভাইরাস আক্রমণের পর থেকে আমরা নতুন করে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট বা পিপিই-র সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। এই পিপিই-র পুরো সেট (গ্লাভস, গাউন, মাস্ক, গগলস ইত্যাদি) পরতে হবে শুধুমাত্র করোনা রোগীর অথবা রোগের উপসর্গ যার আছে, তার সংস্পর্শে আসার ঠিক আগ মুহূর্তে। এটি ব্যবহারের পরপরই বিশেষ ডিসপোজাল বিনে ফেলে দিতে হবে। প্রতিটি সেট পিপিই একবার ব্যবহার করার জন্য।
একজন রোগীর কাছে যদি দুইবার যান, তবে দুই সেট পিপিই ব্যবহার করতে হবে। পিপিই পরে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করা বারণ! তাহলে পিপিই-র মাধ্যমেই ভাইরাসের বিস্তার ঘটবে নিশ্চিন্তে!
সাধারণভাবে ফুল পিপিই গায়ে চড়িয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করা মেডিকেল পিপিই-র উদ্দেশ্য নয়। একটি মাস্ক বা গ্লাভস দুইবার ব্যবহার করাও বারণ। সাধারণ গার্মেন্টসের কাপড় দিয়ে বানানো পিপিই-ও যথার্থ পিপিই নয়।
পিপিই-র কোন অংশ কখন পরতে হবে, তার জন্য প্রশিক্ষণও দরকার। না জেনে বুঝে পিপিই ব্যবহার বিপদ ডেকে আনে। শনাক্ত রোগী বা উপসর্গ আছে এমন কেউ আশেপাশে না থাকলে হাত ধোয়া ও দূরত্ব বজায় রাখাই যথেষ্ঠ!
পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি:
* পিপিই কখনোই হাসপাতালের বাইরে নেয়া যাবে না।
* পিপিই দিয়ে শরীরের সব অংশ ঢেকে রাখতে হবে।
* দুইজন একত্রে পিপিই পরবেন। এক্ষেত্রে একজন অপরজনের উপর নজর রাখতে পারবেন।
* একজন ডাক্তার ডিউটি করার সময় অন্যদের নজর রাখা উচিত যেন অসতর্কতায় কোনো লিকেজ তৈরি না হয়।
* করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তারকে খুবই সতর্কভাবে সাধারণ রোগীর কাছে যেতে হবে নয়তো সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকে।
* পিপিই খোলার সময় খুব সাবধানে খুলে সেটি ঢাকনা দেয়া নির্দিষ্ট বিনে রাখুন।
* পিপিই খোলার সাথে সাথে গোসল করে নতুন কাপড় পরুন।
এইচএন/এমএস