কী খেলে ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব?
আমাদের শরীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্তেই লড়াই করতে থাকে। তবে শরীর যদি ভেতর থেকে শক্তি না পায় তখন এই লড়াই চালিয়ে যেতে পারে না। আর প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলেই তখন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ সহজ হয়ে যায়। তাই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে এমন সব খাবার খেতে হবে যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
চিনি এমনিতেই খেতে নিষেধ করেন চিকিৎকরা। আর ভাইরাস ঠেকাতে অতিরিক্ত চিনি বা ফ্যাটজাতীয় খাদ্য থেকে দূরে থাকলেই ভালো করবেন, কারণ তা ইমিউন সিস্টেমকে কোনোভাবে সাহায্য করে না।
আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংক দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে তো? এবার অন্তত নিজের জিহ্বাটা নিয়ন্ত্রণ করুন। আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিঙ্ক থেকে যত দূরে থাকবেন, ততই ভালো। তবে ভালো ফ্যাট খাওয়া জরুরি। দেশি ঘি, কোল্ড প্রেসড তেল, বিশেষ করে নারিকেল তেল ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়।'
ভাইরাস থেকে বাঁচতে খুব বেশি মাছ-মাংস, রেড মিট না খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বিশেষ করে রেডমিট না খেলেও ক্ষতি নেই। তবে ছানা, পনির, দই, ডালজাতীয় খাবার বেশি করে খান। সেইসঙ্গে খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাকসবজি আর ফলও।
রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা খাওয়া যায় এমন কিছু খাবারও রাখতে হবে তালিকায়। প্রতিদিন কিছুটা কাঁচা খাবার খাবেন। তবে তা খাওয়ার আগে অবশ্যই খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
খাবারের তালিকায় রাখুন পর্যাপ্ত প্রোটিন। তবে প্রাণিজ প্রোটিনের চেয়ে গুরুত্ব দিন উদ্ভিজ প্রোটিনের উপর। ছাতু, ছোলা, রাজমা খেতে পারেন ডাক্তারের নিষেধ না থাকলে। সেই সঙ্গে পানি খান বেশি করে।
রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে যেহেতু বাড়িতেই বেশি থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, তাই সক্রিয় থাকার উপর খুব বেশি জোর দিতে হবে। ব্যায়াম করুন ঘরের মধ্যেই। খুব বেশি প্রসেসড ফুড খাবেন না।
বাড়িতে বাদাম, নানা ধরনের বীজ ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখুন। এগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না এবং অনেকদিন চলে।
কোনো অচলাবস্থা তৈরি হলেও ডাল, ভাত, আটা, ঘি, তেল, কিছু সংগ্রহযোগ্য ফল ও সবজি দিয়ে যাতে কয়েকটা দিন চালানো যায় সে ব্যবস্থা করে রাখুন অবশ্যই।
এইচএন/এমএস