পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম? যা খাবেন, যা খাবেন না
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম থাকলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি প্রেগনেন্সিতেও অনেক রকম সমস্যা হয় এমনকি কনসিভ করতেও সমস্যা হতে পারে। আধুনিক এই সময়ে অধিকাংশ নারীই এই পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ভুগছেন।
খাবারে অতিরিক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ, অনিয়মিত জীবনযাপন, স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্স, শরীরচর্চা না করা এবং আরও নানা কারণে এই সমস্যা দেখা যায়। বেশিরভাগ নারীই এই সমস্যাকে তেমন গুরুত্ব দেন না এবং পরে গিয়ে এটি বড় আকার ধারণ করে।
নিয়মিত ওষুধ খাওয়াটা যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনি এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটা নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম থাকে তাহলে আপনি এই খাবারের তালিকাটি মেনে চলতে পারেন-
লো-কার্ব: পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম সমস্যা থাকে তাহলে লো-কার্ব খাবার অর্থাৎ যে খাবারে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে সেই ধরনের খাবার খান। এর ফলে আপনার শরীরে ইন্সুলিন লেভেল বাড়বে না এবং অযথা ওজনও বাড়বে না। সাদা ভাত, আলু, ময়দা, তরমুজ, কর্ণফ্লেক্স ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। এর বদলে কী খাবেন? মাল্টিগ্রেইন ব্রেড, সয়াবিনের দুধ, ওটস, আপেলের রস, আনারস, লো-ফ্যাট দই, গাজর ইত্যদি খাওয়া ভালো।
খালি পেটে থাকা নয়: পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি বলে অনেকেই ভাবেন যে না খেয়ে থাকলে ওজন কমানো যাবে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। না খেয়ে থাকলে ওজন কমবেনা, শারীরিকভাবে আপনি দুর্বল হয়ে পড়বেন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান যাতে পুষ্টিও পাবেন আবার ওজনও বাড়বে না। যেমন, ডাল, শাক-সবজি, ফল এসব রাখুন আপনার খাবার তালিকায়। আর সাথে এক্সারসাইজ করতে কিন্তু একদম ভুলবেন না।
মিষ্টি কম খান: চিনি না খেলেই ভালো। অনেকেই আছেন চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন না। তারা কিন্তু একটা কাজ করতে পারেন, গ্রিন টি খান এবং চিনির বদলে মধু দিয়ে খান। যদি বাড়িতে কোন মিষ্টি তৈরি করতে হয় তাহলে চিনির বদলে গুড় দিয়ে করুন। এছাড়া মিষ্টি, আইসক্রিম, চকলেট, নরম পানীয় যতটা পারেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন: পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে কিন্তু ডায়েটে প্রসেসড ফুড যেমন হ্যাম, সসেজ, চিজ, যেকোনো ক্যানড খাবার একেবারেই চলবে না। এই খাবারগুলোতে চিনি, ফ্যাট, প্রিজারভেটিভ এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে যা এমনিতেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার কম খান: গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার যদি না খান তাহলে সবথেকে ভালো হয়, একান্তই যদি খেতে হয় তাহলে যতটা সম্ভব কম খেলে ভালো। গরুর দুধের বদলে নারিকেলের দুধ, আমন্ড দুধ, সয়াবিনের দুধ এগুলো খেতে পারেন।
এইচএন/এমএস