অফিসে গাছ লাগালে স্ট্রেস কমে, বলছে গবেষণা
অফিসকে বলা হয় দ্বিতীয় বাড়ি। নিজের বাড়ির পরে অফিসই হলো সেই জায়গা, যেখানে কর্মজীবীরা সবচেয়ে বেশি সময় কাটান। অনেকে আবার আরও একধাপ এগিয়ে, তারা যতটা সময় বাসায় কাটান তারচেয়ে বেশি সময় কাটান অফিসে।
বাড়িতে যেমন চাইলেই আরাম-আয়েশে কাটানো যায়, অফিস তেমন নয়। বরং সেখানে প্রায় পুরোটা সময়ই নিজেকে সক্রিয় রাখতে হয়। নিজেকে প্রমাণ করার লড়াইয়ে নামতে হয়। নানা কাজের চাপে খুব সহজেই বাড়ে স্ট্রেস।
অফিসের দুশ্চিন্তার ফলে শুধু আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য নয়, ক্ষতিগ্রস্ত শরীরও। অফিসের এই মাত্রাতিরিক্র স্ট্রেস কমাতে আপনার বন্ধু হতে পারে গাছ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন অফিসের ডেস্কে একটা গাছ লাগান, যা আপনার মনে পজিটিভি প্রভাব বিস্তার করে টেনশন কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
জাপানে ৬৩ জন কর্মীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যে, ডেস্কে কোনো ইনডোর প্ল্যান্ট বসানো থাকলে তা স্ট্রেস রিলিফের কাজ করে।
টানা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমরা মানসিকভাবে অবসন্ন হয়ে পড়ি। একটুখানি সবুজ দেখতে পেলে মন উত্ফুল্ল হয়ে ওঠে। তার প্রভাব আমাদের কাজেও পড়ে। তাই কোনো ইনডোর প্ল্যাল্ট আপনার অফিস ডেস্কে অবশ্যই বসান।
গাছ লাগানোর পর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে যত্ন নেয়া। অল্প আলো ও অল্প জায়গায় জন্মানো এসব ইনডোর প্লান্ট এর পরিচর্যার দিকে নজর দিতে হবে শত ভাগ। এসব গাছ লাগানোর জন্য বেলে ও বেলে-দোঁআশ মাটি উপযুক্ত। মাটির সাথে জৈব সার সমান ভাবে মিশিয়ে টবে ভরতে হবে।
বাজারে সুন্দর ডিজাইন করা মাটি, তামা, পিতল, প্লাস্টিক, সিরামিক ও সিমেন্টের তৈরি টব পাওয়া যায়। যেহেতু জায়গা আনেক কম সেহেতু অপেক্ষাকৃত ছোট ও মাঝারি আকৃতির টব নির্বাচন করা ভালো। প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে ১-২ বার গাছে পানি দিতে হবে। টবের মাটি ভেজা থাকলে পানি না দেয়াই ভালো। অতিরিক্ত পানি দিলে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মাঝে মাঝে স্প্রেয়ারের সাহায্যে গাছের পাতা ধুয়ে দিলে ভালো হয়।
সপ্তাহে একবার গাছগুলো রোদে দিতে হবে। ২-৩ দিন পর পর রোদে দিলে ভালো হয়। গাছের পুষ্টি উপাদান নিশ্চিত করতে তরল সার ব্যবহার করতে হবে। মাঝে মাঝে গাছের গোড়ার মাটি উল্টেপাল্টে দিতে হবে। পোকামাকর আক্রমণ করলে বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। পানিতে গাছ থাকলে সপ্তাহে একবার পানি পরিবর্তন করতে হবে।
এইচএন/পিআর