পেস্তা বাদাম খেলে কী হয়?
প্রায় সবাই এমন খাবার খোঁজেন যা খেলে একসঙ্গে অনেক উপকার মেলে। কিন্তু এমন খাবারের তালিকা খুব বড় নয়। অল্পকিছু খাবারের ভেতর এমন গুণ রয়েছে। পেস্তা বাদাম তার মধ্যে একটি। ছোট্ট এই ফলটি খাদ্যগুণে ছাপিয়ে যাবে অনেক খাবারকেই। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কিছু গুণ-
ডায়েট কন্ট্রোল করলে তালিকায় পেস্তা বাদাম রাখুন। কারণ পেস্তার ক্যালোরি লেভেল খুবই কম। এতে একদিকে যেমন কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান কম থাকে, তেমনই প্রোটিন আর ফাইবারে সমৃদ্ধ একটি খাবার। পেস্তায় ক্ষতিকর স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। ফাইবার আর প্রোটিনের মত ভারী উপাদান থাকায় পেস্তা অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। তবে একসঙ্গে বেশি পেস্তা খাবেন না যেন!
অ্যানিমিয়ার কারণে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমতে থাকে দিনদিন। এর কারণে শরীর দুর্বল, মাথা ঝিমঝিম করে। নিয়মিত পেস্তা খেলে এর থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন। পেস্তায় আছে প্রচুর মিনেরেলস। এছাড়াও এটি শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়ায়। সেইসঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে প্রোটিন গ্লাইকেশন পদ্ধতিতে জমাট বেঁধে যায়। কারণ হলো রক্তে সুগারের উপস্থিতি। পেস্তায় আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এই গ্লাইকেশন পদ্ধতিতে বাধা দেয়। প্রোটিন গ্লাইকেশন পদ্ধতিতে জমাট না বাঁধলে ডায়াবেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে। পেস্তা শুধু যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, তা নয়, বরং ব্লাড প্রেশার আর ব্লাড সুগারও সহজে বাড়তে দেয় না।
পেস্তায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিউটিন আর জিয়াক্সানথিন। এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মিলে চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে। এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য চোখে সহজে ছানি পড়তে পারে না। এমনকী এটি রেটিনার স্বাস্থ্যও দীর্ঘদিন ভালো রাখে।
পেস্তায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। শরীরের সমস্ত পেশি যাতে ঠিকঠাক কাজ করে তা দেখাই হলো পটাশিয়ামের কাজ। একইসঙ্গে হার্টের পেশির কাজও ঠিক রাখে এটি। শুধু তাই নয়, শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতেও এই পটাশিয়াম প্রয়োজন।
এইচএন/জেআইএম