জেনে নিন চুলের রুক্ষতা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়
রুক্ষ কোনোকিছুই সুন্দর নয়, হোক তা ত্বক কিংবা চুল। রুক্ষ চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এতে চিরুনি চালালেই একগাদা চুল ছিঁড়বে, ভাঙবে, ব্যথা লাগবে। এছাড়া টানাটানির ফলে চুলের গোড়ায় টান লেগে আরও কিছু চুলের উঠে আসাও অস্বাভাবিক নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে চুলের রুক্ষতা দূর করে একঢাল মোলায়েম চুলের মালিক হবেন-
ইচ্ছে করলেই মাথা ভরা চুল গজাবে না, কিন্তু নিয়মিত যত্ন নিলে যতটুকু আছে, তার স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। রুক্ষ চুলেই জট পড়ে বেশি। তাই প্রথমেই আপনাকে আর্দ্রতার জোগানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচুর জল ও তরল পানীয় খান- তা আপনার ত্বক আর চুল দুটোই ভালো রাখবে।
শ্যাম্পু করলেই আপনাকে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, অন্য কোনো উপায় নেই। তেল লাগাতে হবে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন। এমন ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে হবে যা চুলকে নরম, মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে।
খাদ্যতালিকায় যেন যথেষ্ট ফ্যাট আর প্রোটিন থাকে তা দেখবেন। তাতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সম্ভব হলে রাতে শোয়ার সময় চুলটা আলগা করে বেঁধে নিন, তা না হলে বালিশে ঘষা লেগে তার স্বাস্থ্যহানি হবে। খুব ভালো হয় সিল্ক বা স্যাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করতে পারলে।
ভেজা চুলে কখনো শোবেন না। এমনিতেই ভেজা চুল দ্রুত ভাঙে, তার উপর বালিশে দীর্ঘক্ষণ ঘষা খেলে তার অবস্থা আরও খারাপ হবে। নিয়মিত চুল আঁচড়াবেন এবং ডগার দিকটা রুক্ষ হয়ে গেলে ছেঁটে ফেলবেন সময় করে। হিট স্টাইলিং থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।
জট পড়া এড়াতে চুলে প্যাক লাগান নিয়মিত। আমন্ড তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক সপ্তাহে দু’বার লাগানো উচিত। একঘণ্টা রেখে মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন।
শ্যাম্পু করার পর চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার উপর তুলে রাখার অভ্যাস থাকলে অবিলম্বে তা ত্যাগ করুন। পুরোনো ও নরম টি শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। বাতাসে চুল শুকনো করাটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
এইচএন/জেআইএম