শীতে ত্বক ভালো রাখতে এই ৫ কাজ করবেন না
শীত মানেই ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কভাব। কিছুক্ষণ পরপরই ত্বক মনে হয় খসখসে, নতুন করে লাগাতে হয় ময়েশ্চারাইজার। শীতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ও লোশন তো ব্যবহার করবেনই, সেইসঙ্গে কিছু কাজ থেকেও বিরত থাকতে হবে-
অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহার: গরম পানিতে অনেকক্ষণ ধরে গোসল করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্বাভাবিক ত্বকও। তাই খুব গরম পানিতে কখনোই গোসল করবেন না, আর একটানা দশ মিনিটের বেশি সময় ধরে গরম পানিতে গোসল এড়িয়ে চলুন।
অতিরিক্ত ত্বক পরিষ্কার: বারবার পরিষ্কার করার অভ্যাস থাকলে তা ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। মুখ ধোয়ার জন্য সাবান বা ক্লিনজারের বদলে ক্রিম-বেসড ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন, তাতে মুখ অনেকটা নরম থাকবে। দিনে দুইবারের বেশি মুখ পরিষ্কার করবেন না।
পানি কম খাওয়া: পর্যাপ্ত পানি না খেলে ত্বক কিন্তু স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারাবে। তাই সারা দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি খান। সেইসঙ্গে খাবারে যোগ করুন স্বাস্থ্যকর স্নেহজ পদার্থে ভরপুর মাছ আর আখরোট। এসব খাবার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন: মুখের চামড়ায় খুব টান ধরলে অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট না করাই ভালো। তাতে ত্বকের আর্দ্রতা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এরকম ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করুন, এবং মুখ ধোয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।
দেরি করে ময়েশ্চারাইজার মাখবেন না: গোসল বা মুখ ধুয়ে আসার পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করবেন না। ত্বক হালকা ভেজা অবস্থায়ই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। তাতে ত্বক তা সম্পূর্ণ শুষে নিতে পারবে, আপনার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতাও সুরক্ষিত থাকবে।
এইচএন/জেআইএম