শিশুর ডিহাইড্রেশনের ৫ লক্ষণ
শিশুর সুস্থ ও সুন্দর থাকা নির্ভর করে তার অভিভাবকদের উপরে। তাদের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। শিশুর ওজন দেখেই সাধারণত শিশুর সুস্থতা নির্ণয় করা হয়। তবে শুধুমাত্র ওজন দেখেই কিন্তু শিশুর সুস্থতা নির্ণয় করা ঠিক নয়। এমন আরও অনেক চিহ্ন আছে যা দেখে বোঝা যায়, শিশুটির শরীরে কোনো অসুস্থতা বাসা বাধছে কিনা। শিশুর জন্য বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে ডিহাইড্রেশন। শিশুর ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা বোঝার উপায়গুলো জেনে নিন-
ইদানিং ঘনঘন শিশুর ডায়াপার বদলাতে হচ্ছে না দেখে খুশি লাগছে? আপনি বরং খোঁজ নিন শিশুর শরীরে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না! কারণ এর অর্থ হতে পারে আপনার সন্তানের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রস্রাব হলুদ রঙের হবে।
শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে কি না তা জানতে ঠোঁট ও মুখের চারপাশে কোনো শুষ্কতা আছে কিনা, তা লক্ষ করুন। ডিহাইড্রেশনের কারণে হাত ও পা অস্বাভাবিক রকমে ঠান্ডা বা গরম হয়ে যেতে পারে মাঝে মাঝে। এরকমটা হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন।
শিশুর কান্নার সময় তার চোখ দিয়ে পানি না পড়লে তা ডিহাইড্রেশনের একটি বড় চিহ্ন। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তখনই শিশুর কান্নায় চোখ দিয়ে পানি পড়ে না।
ডিহাইড্রেশন হলে বা শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটলে শিশু আগের চেয়ে ঝিমিয়ে পড়বে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই সে ঘুমিয়ে কাটাবে। এই প্রবণতা দেখা দিলে এখনই সাবধান হোন।
শিশুর শরীরে পানি কম থাকলে সে খিটখিটে হয়ে পড়বে। শিশু সব সময় ঘ্যানঘ্যান করলে বা কান্নাকাটি করলে হতে পারে তার ডিহাইড্রেশন হয়েছে। তবে শিশু অতিরিক্ত কান্নাকাটি করলে তার অন্য সমস্যাও থাকতে পারে।
এইচএন/জেআইএম