ডায়াবেটিস রোগীদের শীতকালীন ৫ খাবার
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের তালিকা নিয়ে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হয়। অন্যান্য মৌসুমের মতোই শীতের সময়টাতেও সেই সতর্কতা মেনে চলতে হবে। শীতকালে অনেক ফল, সবজি এবং মশলা পাওয়া যায় যা স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং রক্তের চিনির ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে। শীতের মৌসুমে আপনার খাবারের তালিকায় রাখুন এই মশলা সবজি ও ফল-
পেয়ারা: এই শীতকালীন এই ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ। ফাইবার ভাঙতে এবং হজম হতে দীর্ঘ সময় নেয়, যার ফলে খাদ্য অবিলম্বে ভেঙে যায় না এবং রক্ত শর্করা হঠাত করে বৃদ্ধি হওয়া প্রতিরোধ করে। পেয়ারা কম গ্লাইসেমিক সূচক যুক্ত। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) ৫৫-এর নিচে এমন খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয় ডায়াবেটিস রোগীদের।
দারুচিনি: আপনি কি জানেন দারুচিনি ডায়াবেটিস ডায়েটের একটি চমৎকার উপাদান? ডি কে পাবলিকেশন হাউসের হিলিং ফুডস বই অনুসারে, ‘দারুচিনি হলো একটি পাচক সাহায্য যা রক্তে গ্লুকোজ এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের (এক ধরনের চর্বি) মাত্রা স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।’ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি ব্যবহার করার সেরা উপায় হলো সকালে দারুচিনি ভেজানো পানি খাওয়া।
কমলা: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পাতিলেবু, কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফলগুলো ‘ডায়াবেটিস সুপারফুডস’, যা আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা পরিচালনা করার জন্য ডায়েটে যোগ করা উচিত। কমলার গ্লাইসেমিক সূচকও কম আছে; আপনি সালাদে তাদের যোগ করতে পারেন, রস করে বা কাঁচাও খেতে পারেন।
গাজর: পুষ্টি-ঘন গাজর আপনার ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে দুর্দান্ত সাহায্য করতে পারে। গাজরে ডায়েটরি ফাইবার থাকায় তা রক্ত প্রবাহে চিনিকে ধীরে ধীরে মুক্তি দেয়। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক খুব কম।
লবঙ্গ: লবঙ্গ অ্যান্টি-প্রদাহজনক, অ্যানালজেসিক এবং পাচক স্বাস্থ্যের উপকারি কিছু তেলে সমৃদ্ধ। এছাড়াও এই মশলা রক্ত শর্করার ওঠানামা এবং ইনসুলিন উৎপাদনে যত্ন নেয়। জার্নাল ন্যাচারাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, লবঙ্গের নির্যাস ইনসুলিনের স্রোত বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বাড়ায়।
এইচএন/জেআইএম