সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে যে কাজগুলো করবেন না
বর্তমান সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় সঙ্গী হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। একইসঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার এ এক চমৎকার মাধ্যম। আমাদের ভালোলাগা, মন্দলাগা, বিভিন্ন বিষয়ে মতামত জানানোর উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। এমন একটি পাবলিক প্লেসে নিজের ব্যক্তিগত জীবন কতটুকু শেয়ার করা যাবে এবং কতটুকু যাবে না, সেটিও আমাদের জানা থাকা উচিত।
সঙ্গীর প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়াবাড়ি করে ফেলেন যা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে অপরপক্ষকে। তাই জেনে নিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকের প্রতি আপনার আচরণ ঠিক কেমন হবে-
যখন তখন ‘হার্ট’ ইমোটিকন নয়: ভালোবাসার ভাষা বোঝাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ‘হার্ট’ ইমোটিকন বা লাভ রিঅ্যাক্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু যখন তখন ইমোজির ব্যবহার একটা সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ইমোটিকন ব্যবহার করুন এমনভাবে যাতে তা বিরক্তকর মনে না হয়।
ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার নয়: ব্যক্তিগত জীবনকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যত দূরে রাখা যায়, ততই ভালো। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি একেবারে চলবে না। আপনার সঙ্গী তাতে স্বচ্ছন্দবোধ নাও করতে পারেন, বা তার পরিচিত বৃত্তে এমন কেউ থাকতে পারেন যাকে তিনি ওই সব ছবি দেখাতে চান না। তাই বুঝেশুনে কাজ করুন।
আদরের নামে ডাকাডাকি নয়: প্রত্যেক প্রেমিক-প্রেমিকাই পরস্পরকে আদরের কোনো ডাকনামে ডেকে থাকেন। সেসব আদর-আহলাদের কথা নাহয় গোপনই রাখুন। যে নামে আপনারা পরস্পরকে একান্তে ডাকেন, তা বাইরের লোককে জানানোর দরকারটাই বা কী? পাবলিক প্ল্যাটফর্মে একটা আড়াল বজায় রাখুন।
সব পোস্টে কমেন্ট নয়: প্রেম মানেই সবকিছুতে নাক গলানো নয়। ভালোবাসার মানুষটিকে যদি পাহারা দিয়েই রাখতে হয়, তাহলে
বুঝতে হবে সেই ভালোবাসায় খাঁদ আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে মনে হতে পারে আপনি তাকে চোখে চোখে রাখছেন।
কমেন্ট করার জন্য জোর করবেন না: আপনার সবকিছুই যে তার পছন্দ হবে এমন কিন্তু নয়। এমনও হতে পারে আপনার দেয়া সর্বশেষ পোস্টটির সঙ্গে তিনি একমত নন। তাই আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য তাকে জোর করবেন না। তার ইচ্ছে হলে সে নিজে থেকেই মন্তব্য করবে। ব্যক্তিমানুষের স্বাধীনতা সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বজায় রাখুন।
এইচএন/এমএস