ঘুমের সময় মেয়েদের অন্তর্বাস পরা কি জরুরি?
ঘুমের সময় পোশাকটি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন বেশিরভাগ নারী। কারণ আঁটসাঁট পোশাক পরলে অনেকসময় ঘুমের অস্বস্তি হয়। আবার ঢিলেঢালা পোশাক পরলে শরীরের গঠন শিথিল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। নারীদের স্তনের আকার একটা বয়সের পর থেকে শিথিল হতে আরম্ভ করে প্রাকৃতিকভাবেই। যারা নিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া করেন, ওজন বাড়তে দেন না তেমনভাবে, ব্যায়াম করে শরীর টানটান রাখার চেষ্টা করেন তাদের স্তনের আকার বেশিদিন সুডৌল থাকে। অন্যদিকে আবার যারা অল্প বয়স থেকে ওজন বাড়িয়ে ফেলেন, জীবনযাত্রায় তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণও রাখতে পারেন না, তাদের স্তন তিরিশ পেরনোর আগেই শিথিল হয়ে পড়ে।
আপনি কোন ধরনের অন্তর্বাস ব্যবহার করছেন, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। সব সময়েই ট্রায়াল দিয়ে ভালো মানের অন্তর্বাস কেনা উচিত। মাস ছয়েক পরার পর সাধারণত অন্তর্বাস আলগা হয়ে যায়। তখন তা বদলে ফেলুন নিয়ম করে। অন্তর্বাসের ফিটিং যেন পারফেক্ট হয়, সে ব্যাপারে সুনিশ্চিত হয়ে তবেই কেনা ভালো।
অনেকেই মনে করে, রাতে শোয়ার সময় অন্তর্বাস পরে থাকলে স্তনের আকার বেশিদিন ভালো থাকে। শোনা যায়, মেরিলিন মনরো নাকি এই মতে ঘোর বিশ্বাস করতেন এবং রাতে অন্তর্বাস পরেই শুয়েছেন সারা জীবন।
অপরপক্ষের মতটাও কিন্তু যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত- আপনি যখন দাঁড়িয়ে বা বসে আছেন, তখন মাধ্যাকর্ষণ আপনার শরীরের সঙ্গে সঙ্গে স্তনের উপরেও কাজ করে। অন্তর্বাসের বন্ধন না থাকলে তা ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকবে। কিন্তু বিছানায় চিৎ হয়ে বা পাশ ফিরে শুলে তো আর সে সমস্যা নেই। তাই রাতে অন্তর্বাস পরাটা বাতুলতা।
কিন্তু এমন অনেকে আছেন, যারা রাতেও অন্তর্বাস পরে থাকতেই অভ্যস্ত। তারা কি ঠিক করছেন না ভুল? এক কথায় এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন কিছু বেছে নিন যার স্ট্র্যাপ বা বাস্ট খুব টাইট নয় এবং আপনার ত্বকের উপর চেপে বসবে না। বিশেষ করে যারা উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমোতে অভ্যস্ত এবং স্তনের আকার কিছুটা বড়, তারা সাপোর্ট অন্তর্বাস পরে শুলে নিশ্চিতভাবেই উপকৃত হবেন।
ফেমিনা/এইচএন/জেআইএম