ওজন কমাতে এই কাজগুলো করুন
কেউ কেউ বলে থাকেন, আমি বাতাস খেলেও মোটা হয়ে যাই! অথচ প্রতিদিনের খাবার আর কাজকর্মে কিছু নিয়ম মেনে চললেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ওজন মাপার মেশিনে দাঁড়িয়ে বরাবরই আঁতকে উঠছেন? আপনার জন্যই তবে এই জরুরি সমাধান-
ছোট থালায় খান: ছোট থালায় খাবার খেলে কম খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কারণ ছোট প্লেটে স্বাভাবিকভাবেই কম খাবার নেয়া যাবে এবং দেখতে অনেক খাবার মনে হবে। খাবার শেষ করলে আপনার মনে হবে আপনি অনেক খেয়েছেন। সেটি অনেকটা মানসিক শান্তিও দেবে।
ফল খান: বেশির ভাগ মিষ্টি ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি এবং খাদ্যআঁশ বিপাক ক্রিয়ার গতি বাড়াতে সাহায্য করে। কমলা, পেয়ারা, আপেল, ইত্যাদি ফল কোমরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
বিরতি দিয়ে খান: খাবারের প্রথম ভাগ খাওয়ার পর বেশ কিছুটা সময় বিরতি দিন। কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর যদি দেখেন ক্ষুধা মেটেনি, তাহলেই পরের ভাগ খান। আর যদি ক্ষুধা মিটে যায়, তাহলে খাবেন না।
গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন: স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এগুলো নিয়ে সময় কাটানোর অভ্যাস প্রায় সবারই। ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি বা ব্যায়ামের সময় কমে যায়। এগুলো থেকে কিছুটা সময় কমিয়ে শারীরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এমন কাজে মনোযোগ দিন।
মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: দেহে যখন কিছু পুষ্টি উপাদানের জন্য ঘাটতি হয় তখন বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই মাল্টিভিটামিন নিয়মিত গ্রহণ করলে সেই ঘাটতি পূরণ হবে। বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমলে ওজন ও কমবে সহজে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
ঝালের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন: যেসব খাবারে ঝাল ব্যবহার করা হয় সেসব খাবারে মরিচের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। বেশি ঝাল খাবার একদিকে আপনার ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে অল্প খাবারেই পরিতৃপ্তি আনতে সাহায্য করবে।
শীতল রুমে ঘুমান: রাতে ঘুমের সময় কক্ষ যেন ঠান্ডা থাকে সেদিকে নজর রাখুন। এতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দেহের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা ক্রমাগত কাজ করে যাবে এবং ঘুমের মাঝেও ফ্যাট বার্ন হবে।
এইচএন/পিআর