সুস্থ থাকতে পাতে রাখুন ৫ তেতো খাবার
তিতকুটে স্বাদের খাবার অনেকেই পাতে রাখতে চান না। কিন্তু এই তেতো খাবারেই রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি শুধু মুখের স্বাদ বদলায় এমনই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, বিপাক হার বাড়িয়ে তুলতে, কিছু মৌসুমী অসুখ রুখতে এই সব শাক-সবজির ভূমিকা অনেক। রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এসব নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তেতোর ভূমিকা অনেক। তাই বছরের বিভিন্ন সময় খাবার পাতে কোন কোন তেতো রাখলে সারা বছরই ভিতর থেকে অনেকটা সুস্থ থাকা যাবে জেনে নিন-
করলা: করলা বেশ পরিচিত একটি সবজি। বাজারে সারা বছরই পাওয়া এটি। এর অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল গুণ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। করলার রস প্রতিদিন সকালে খেলে ডায়াবেটিসেও বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
তেলকুচা পাতা: এই পাতায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি, তাই রোগ প্রতিরোধের সঙ্গে এর গুণে শরীরে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকেই তেলকুচা পাতার বড়া করে খান, তেলে পড়লে এই সব পাতার গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়। তাই তরিতরকারিতেই এদের ব্যবহার করা ভালো।
মেথি শাক: মেথি শাক আর মেথির দানা, বাঙালি রান্নায় দুইয়ের ব্যবহারই যথেষ্ট। ডায়াবিটিস সামাল দিতে ও শরীরে অম্লের ভাব কমাতে মেথি সাহায্য করে। চুলের খাদ্য জোগাতেও মেথির ব্যবহার যথেষ্ট। তাই এই তেতো মশলাও রাখুন খাবার পাতে।
নিমপাতা: প্রাকৃতিক ভাবেই নিমপাতা জীবাণুনাশক। ত্বকের নানা অসুখ দূর করতে ও জীবাণুনাশক হিসেবে এই পাতার ব্যবহার দীর্ঘদিনের। স্নায়বিক সমস্যা সারাতে ও ক্ষুদ্রান্তে ব্যাক্টিরিয়ার হানা ঠেকাতে পাতে রাখুন নিমপাতা।
সজনে ফুল: বসন্তে এই খাবার পাতে রাখুন সুযোগ পেলেই। বসন্ত রোগের হানা রুখতে যেমন কাজে আসে, তেমনই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বরের উপশমে এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকায় সদ্য মা হয়েছেন এমন কারো ডায়াটে সজনে ফুল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
এইচএন/পিআর