প্রেম করতে ইচ্ছুক? মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো
হতে পারে আপনি একেবারেই সিঙ্গেল কিংবা সদ্যই নিজের নামের পাশ থেকে সিঙ্গেল শব্দটি বাদ দিয়ে অন্য কাউকে জুড়ে নিয়েছেন। অথবা এমনও হতে পারে, কাউকে ভালোলাগছে ভীষণ, মনে মনে ভালোবাসছেন তবে বলবো বলবো করেও বলতে পারছেন না। হতে পারে অনেককিছুই। প্রেম জীবনে আসবেই। সঙ্গে নিয়ে আসবে এক ঝুড়ি গল্প, মান-অভিমান, অপেক্ষা, অনুভব আরও কত কী! কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে কিছু বিষয়। জেনে নিন-
নিজেকেও ভালোবাসুন: প্রেম মানেই সঙ্গীর প্রতি সবটুকু আবেগ, ভালোবাসা আর সময় ঢেলে দেয়া নয়। তাকে জানার জন্য এবং নিজেকে জানানোর জন্য সময় রাখবেন ঠিকই, পাশাপাশি একান্তই নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। তা না হলে প্রেমের প্রাথমিক আবেগ একটু স্থির হলেই নিজেকে দমবদ্ধ আবিষ্কার করবেন! নিজের মনের দায়দায়িত্ব নিজে নিলে সারাক্ষণ সঙ্গীর উপরে নির্ভর করেও থাকতে হবে না। তাতে সম্পর্কটা নতুন থাকবে সব সময়।
অতিরিক্ত আশা নয়: কোনো এক রাজকুমার/রাজকুমারীর মিথ্যা আশায় বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন, এ কেবল রূপকথায়ই সম্ভব। বরং এমন কাউকে বেছে নিন যে আপনাকে ভালোবাসে। যাকে দেখে মনে হয়, তার সঙ্গে বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়। ভালোবাসা থাকলে একটা জীবন কাটাতে আর কী-ই বা লাগে!
দখলদারি নয়: নিজে কিছুটা স্বাধীনতা নিন, তাকেও কিছুটা স্বাধীনতা দিন। তিনি আপনার সঙ্গী বলেই সারাক্ষণ খবরদারি কিংবা দখলদারি করতে থাকা মোটেও ভালো কথা নয়। তাকে নিজস্ব স্পেস দিন। সবকিছুর হিসাব চাইবেন না। সম্পর্ককে শ্রদ্ধা করুন। চেষ্টা করুন আপনার প্রতিও তার শ্রদ্ধা ধরে রাখতে।
সীমা নির্ধারণ: দু’জন মানুষ পরস্পরকে ভালোবেসে সুখী হবেন, একে অপরের সান্নিধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বস্তিবোধ করেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধীরে ধীরে তা যেন অসহ্য না হয়ে ওঠে। নিজের ফোন বা সোশাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড সঙ্গীকে দিতে আপনি স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন কিনা তা প্রথমেই স্পষ্ট করে দিন এবং বুঝিয়ে দিন তার কাছ থেকেও আপনি ঠিক এমন আচরণই প্রত্যাশা করেন।
ঘনিষ্ঠতা ধরে রাখুন: সম্পর্ক সফল করতে হলে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। এমনকী একটু হাত ধরা, একটু পাশাপাশি থাকাও সম্পর্কে নতুন অক্সিজেনের জোগান দিতে পারে। সম্পর্কের বাঁধন শক্তপোক্ত রাখতে স্পর্শের গুরুত্ব অপরিসীম, তাকে অবহেলা করবেন না।
এইচএন/পিআর