সুখী হতে চাইলে যেসব কথায় কান দেবেন না
সারাজীবন একসঙ্গে চলার ইচ্ছে আর আগ্রহ থাকলেই একটি সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন আরেক জীবন। অনেক অচেনাকে চেনা, অনেক অনভ্যস্ততার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। সবকিছু ছাপিয়ে দুজন মানুষের এক হয়ে ওঠা। এই সম্পর্কটাই সুন্দরভাবে বয়ে নিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়।
দুজনকেই অনেকরকম পরীক্ষা, অনেক ছাড়, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয় একটি সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক পেতে চাইলে। আর এক্ষেত্রে আত্মীয়-বন্ধুরা সব সময় মুখিয়ে থাকেন বিনামূল্যে নানা পরামর্শ দিতে! তাদের পরামর্শ সব সময় যে গুরুত্ব বহন করে কিংবা কাজে লাগে এমন কিন্তু নয়। যেকোনো সুন্দর পরামর্শ অবশ্যই ভেবে দেখতে পারেন। তবে কিছু পরামর্শে কান দিলে আপনার ক্ষতিই বেশি হবে। জেনে নিন-
শারীরিক সম্পর্ক না থাকলেও সমস্যা নেই: একটি দাম্পত্যসম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এই শারীরিক সম্পর্ক। আপনার আত্মীয়-বন্ধুরা যদি একথা বলে থাকেন যে শারীরিক সম্পর্ক না থাকলেও সমস্যা নেই, তাহলে তাদের এড়িয়ে চলুন। স্বামীর সঙ্গে আপনার শারীরিক সম্পর্ক যদি তেমন জোরদার না হয়, তা হলে তা সুন্দর করে তোলার জন্য যা যা করা দরকার করুন। তা না হলে সম্পর্কে বিরাট সমস্যা তৈরি হতে পারে। একঘেয়েমি আর আবেগহীনতার কারণে একটা সময়ে এসে নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে সম্পর্কের ভিত্তিটাই।
বাচ্চা নিলেই ঝামেলা মিটবে: এটি ভুল একটি সমাধান। যদি আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কে বড় কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে নিছক সন্তান আসায় কিছুই বদলাবে না। সম্পর্কের জটিলতাগুলো আগে সমাধান করার চেষ্টা করুন। সম্পর্ক ভালো না করেই সন্তানের জন্ম দেওয়াটা খুব কাজের কথা নয়। তাতে অযথাই আরেকটি প্রাণ পৃথিবীতে এনে তাকে কষ্ট দেয়া হয়।
একসঙ্গে কাটানো সময়টুকু স্পেশাল হোক: এরকমটা কেউ পরামর্শ দিলেই তাতে কান দেবেন না। এর অর্থ যতবার আপনারা একসঙ্গে সময় কাটাবেন, ততবার আপনাকে কিছু না কিছু স্পেশাল করতে হবে! হয় দারুণ কোনো রান্না করতে হবে, নয় একটা দুর্ধর্ষ সারপ্রাইজের ব্যবস্থা রাখতে হবে! ভেবে দেখুন তো, প্রতিবার এরকম কিছু কি করা সম্ভব? এর অর্থ, আপনি কখনোই নিজের মতো করে খোলা মনে সময় কাটাতে পারবেন না, সারাক্ষণই আপনাকে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে। মাঝেমধ্যে বিশেষ কিছু করতে পারেন, তবে সব সময় না। অতিরিক্ত সারপ্রাইজ দিতে থাকলে তাও একসময় বিরক্তিকর হয়ে যায়।
কাউন্সেলরের কাছে গিয়ে লাভ নেই: এই পরামর্শটিও ভুল। একজন পক্ষপাতহীন তৃতীয় ব্যক্তিই আপনাদের সাহায্য করতে পারেন। বিশেষ করে কোনোভাবেই যদি নিজেদের সমস্যা মেটাতে না পারেন, তাহলে দেরি না করে রিলেশনশিপ কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
এইচএন/জেআইএম