পেট পরিষ্কার রাখার ৭ উপায়
ভালো মানুষ হয়ে বাঁচার জন্য যেমন মন পরিষ্কার রাখা জরুরি তেমনই সুস্থভাবে বাঁচার জন্য পেট পরিষ্কার রাখাও জরুরি। পেটে গোলমাল, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন কাজে-কর্মেও। কারণ এসবের কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, কাজে মন দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। নানারকম অনিয়ম, নিয়ম মেনে না খাওয়া ইত্যাদি অনেক কারণে পেটে সমস্যা বাঁধতে পারে। তাই জেনে নিন পেট পরিষ্কার রাখার সহজ ৭ উপায়-
প্রচুর পানি পান করুন: পেট পরিষ্কার রাখার প্রথম শর্তই হলো হজমশক্তি ঠিক থাকা। তাই হজমশক্তি ভালো রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। খাদ্য তালিকায় সেসব সবজি ও ফল রাখুন যাতে পানির পরিমাণ বেশি। যেমন লাউ, কাঁচা টমেটো, তরমুজ, পেঁপে, আপেল ইত্যাদি। এর থেকেও শরীরে পানির জোগান সঠিক পরিমাণ হয়। ফলে পাচনক্রিয়া সক্রিয় থাকে। খাবার ঠিক মতো হজম হয়। পানি পানের এই অভ্যাস কয়েক সপ্তাহ ধরে মেনে চললে আপনার পেটের সমস্যা কমে যাবে। পেট একদম পরিষ্কার থাকবে।
অ্যালোভেরা জুস: অ্যালোভেরার রস জুস হিসেবে খেলে অন্ত্রে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। গবেষণা থেকে জানা গেছে যে অন্ত্রে থাকা পানি মল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যালোভেরার জুস যোগ করুন। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী শরীরের নানা অংশের জন্য উপকারী। পেটের সাথে সাথে ত্বক, চুলের জন্যও এটি খেতে পারেন।
মৌরি ও জিরার গুঁড়া: ২ চা চামচ মৌরি ও ২ চামচ জিরার গুঁড়ো নিন। হালকা আঁচে কড়াইয়ে নেড়ে নিন। তারপর গুঁড়া করে একটি পাত্রে রেখে দিন। প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অন্তর অল্প অল্প করে খান।
ইসবগুল: ইসবগুল পেটে পরিষ্কার করে অনেকেই জানেন। তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ইসবগুল খাওয়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন সকাল সকাল পেট হালকা হয়ে যাবে চোখের নিমেষে।
তুলসি পাতা: সকালে তুলসি গাছের কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খালি পেটে খান। এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং হজমশক্তি বাড়াবে।
তিসি: তিসির বীজ পিষে এক চামচ পাউডার তৈরি করুন। একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালের খাবারের আধা ঘণ্টা আগে পান করুন। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার পান করুন।
জোয়ান: জোয়ান খাওয়া পেটের জন্য খুবই ভালো। একটি বোতলে জোয়ান ভরে বিছানার পাশে রেখে দিন। রোজ রাতে এক চিমটি জোয়ান খেয়ে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা সকালে উঠলেই হালকা হয়ে যাবে।
এইচএন/পিআর