এই খাবারগুলো আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করবে!
আমাদের সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের খাবারের রুটিনের ওপর। অর্থাৎআপনি স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন কি না, তার ওপরই নির্ভর করছে আপনার ত্বক আসলে কতটা সুন্দর থাকবে।
বাইরে থেকেই যতই রূপচর্চা কিংবা মেকআপ করুন না কেন, ভেতর থেকে সতেজ না থাকলে দুদিনেই তা সৌন্দর্য হারাতে থাকবে। এমনকিছু খাবার আছে যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। জেনে নিন-
অতিরিক্ত লবণ: শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়লে পানির পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর এমনটা হলে মুখের পাশাপাশি সারা শরীর ফুলতে শুরু করে। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়।
মিষ্টিজাতীয় খাবার: অতিরিক্ত মাত্রায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই এনজাইমগুলি ধীরে ধীরে ত্বকের ভেতরে থাকা কোলাজেন এবং এলেস্টিন নামক দুটি উপাদানকে ভেঙে দেয়। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপও পরতে শুরু করে।
অতিরিক্ত চা-কফি: এই ধরনের পানীয়তে ক্যাফিনের মাত্রা বেশি থাকে, যা কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোনের মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, তত ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়ে বলিরেখাও প্রকাশ পায়।
অ্যালকোহল: মদ্যপান করার পর ত্বকে পানির মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আর যত এমনটা হতে থাকে তত বলি রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে নানারকম ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে গ্লাইসেকিম লোড বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে লবণের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ঔজ্জ্বল্য হারাতে শুরু করে ত্বক।
ভাজা খাবার: মচমচে ভাজা যেকোনো খাবারই খেতে অনেক মুখরোচক। কিন্তু এই ফ্রায়েড ফুড খাওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই আমাদের শরীরে হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা দেহে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, সেই সঙ্গে ভিটামিন-ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে ফ্রি রেডিকাল বা ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর তাতে ত্বকের লাবণ্য হারাতে শুরু করে।
রেডমিট: বেশি মাত্রায় এমন মাংস খেলে শরীরে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে কমতে শুরু করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বক এবং শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পরে। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে রেডমিট যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এইচএন/জেআইএম