সম্পর্কে জড়ালে যেসব অভ্যাস বাদ দিতে হবে
জীবনকে যিনি ভালোবাসেন, তিনি সব অবস্থায়ই উপভোগ করতে জানেন। হতে পারে তা সিঙ্গেল জীবনযাপন কিংবা যৌথ জীবনযাপন। কেউ কেউ তো সিঙ্গেল থাকাটাকেই ভালোবেসে ফেলেন! কারও পছন্দ-অপছন্দের সঙ্গে মানিয়ে চলা নেই, জবাবদিহি নেই, গায়ে পড়া খবরদারি নেই। তাইতো সিঙ্গেল থাকা সময়টাকে নিজের মতো করে উপভোগ করেন। আর এই উপভোগ করতে গিয়ে অজান্তেই এমন অনেক অভ্যাস আমাদের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় যা অবিবাহিত জীবনের সঙ্গেই মানানসই। মুশকিল হয় তখন, যখন জীবনে আর একজন কেউ আসেন।
একবার সঙ্গী জুটে গেলে কিন্তু আগের জীবনের বেশ কিছু অভ্যাসে রাশ টানার জন্য তৈরি থাকতে হবে। কীরকম অভ্যাস জানতে চান? চোখ বুলিয়ে নিন-
ব্যক্তিগত সময়: নিজের মতো করে সম্পূর্ণ একা সময় কাটানোটা মোটেই দোষের কিছু নয়, বরং তার দরকারও রয়েছে। সম্পর্কে থেকেও সেটা করা যায়। কিন্তু সারাক্ষণই যদি আপনি একা থাকতে চান, তাহলে আপনার প্রেমের স্বাস্থ্যের পক্ষে সেটা মোটেই ভালো হবে না। কারণ সম্পর্কের মূল বিষয়টা হল পরস্পরের সান্নিধ্যে জীবনের আনন্দ খুঁজে নেওয়া। তাই নিজেকে সময় দেয়ার পাশাপাশি সময় রাখুন তার জন্যও। মাথায় রাখুন, আপনি আর আগের মতো একা নন।
একা বেড়াতে যাওয়া: সিঙ্গেল জীবনে আপনি প্রচুর একা একা ঘুরে বেড়িয়েছেন। নতুন জীবনে যে আপনার একা বেড়াতে যাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করতে হবে, তা নয়। কিন্তু একা বেড়ানোর পাশাপাশি বেড়াতে যান সঙ্গীর সঙ্গেও। তাতে করে আপনারা পরস্পরকে ভালোমতো জেনেবুঝে নিতে পারবেন, বেড়ানোয় একটা অন্যরকম মজাও আসবে। কিন্তু আপনি যদি একা বেড়াতে যাওয়ারই পক্ষপাতী হন, তাহলে কিন্তু সম্পর্কে জড়ানোর পর সে ইচ্ছা খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। কারণ সঙ্গী হয়তো আপনার সঙ্গে বেড়াতেই বেশি পছন্দ করবেন।
কারও উপর নির্ভর না করা: কারও উপর নির্ভর করে না থাকাটা একটি বিশেষ গুণ। ভাবছেন, গুণ তবু বাদ দিতে কেন হবে? এতদিন একা থাকার সুবাদে আপনার মধ্যে একটা স্বাধীন মনোভাব জন্মে গেছে আমরা জানি। কিন্তু প্রেমে পড়া মানে অপর মানুষটির উপরেও নির্ভর করা! সম্পর্কে জড়ানো মানেই স্বাধীনতা বিসর্জন দেওয়া নয়, সেটা বুঝতে হবে আপনাকে। আত্মনির্ভর হয়েও প্রেমিকের উপর নির্ভর করা যায়। সম্পর্ক জড়ানোর সময় এই কথাগুলো মাথায় রাখুন। সুখী হবেন।
এইচএন/এমএস