জীবনসঙ্গীকে যে ৫ কথা অবশ্যই বলবেন
ভালোবেসে বিয়ে। বিয়ের কিছুদিন পরেই গায়েব হয়ে গেল ভালোবাসার নমুনা! দুজনই ব্যস্ত সংসার নিয়ে। এদিকে ধীরে ধীরে ভাটা পরে ভালোবাসার প্রকাশে। আবার এমনও হয়, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ অথচ ভালোবাসার পরিমাণটা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আর সেই প্রেম দেখে আশেপাশের সবাই অবাক!
আসলে সবটাই নির্ভর করছে আপনি আপনার ভালোবাসা ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছেন কি না তার উপর। অনেকেই মনে করেন, ভালোবাসিই তো, আলাদা করে জানাতে হবে কেন! এমন ভাবনা থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু এটি ঠিক নয়। ভালোবাসার পাশাপাশি থাকতে হবে ভালোবাসার প্রকাশও। প্রতিদিনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো করে তুলতে হবে রঙিন-
ভালোবাসি তোমাকে: যদিও দুজনে জানেন পরস্পরকে কতটা ভালোবাসেন, তবু মুখে জানানোও জরুরি। যতই মনে মনে বলুন না কেন, চোখের ভাষায় বোঝান না কেন, সঙ্গী কিন্তু আপনার মুখে ‘ভালোবাসি’ শুনতেই বেশি পছন্দ করবেন। সরাসরি বলুন কিংবা ছোট্ট চিরকুট লিখে দিন, এমনকী জানাতে পারেন মেসেজ লিখেও। তাকে জানান, আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন, কতটা অনুভব করেন।
প্রশংসা: তার কোনো গুণ দেখেই তো প্রেমে পড়েছিলেন। সেইসব গুণ, ভালোমানুষীর প্রশংসা আর আগের মতো করা হয় না? এই ভুল একদম করতে যাবেন না যেন। মন খুলে প্রশংসা করুন। সে যদি সুন্দর কোনো পোশাক পরে কিংবা একটু সাজগোজ করে তবে তারও প্রশংসা করুন। ‘তোমাকে বেশ সুন্দর লাগছে’ এই একটি বাক্যই তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
তোমার সঙ্গে আছি: জীবিকার টানে ব্যস্ত থাকতে হয় দুজনকেই। আর তাতে দিনের অনেকটা সময় দূরে থাকতে হয় সঙ্গীর থেকে। কিন্তু তাতে মনের দূরত্ব বাড়তে দেবেন না যেন। বরং তাকে ভরসা দিন। তাকে জানান, আপনি তার পাশে আছেন, সঙ্গে আছেন। আপনার এইটুকু ভরসাই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
চলো ঘুরে আসি: বিয়ে হয়ে গেলে বাইরের বাইরে দুজনে একান্তে সময় কাটানোর কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেন অনেকেই। সাংসারিক হিসেব-নিকেশের মারপ্যাচে আটকে যায় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই যত ব্যস্ততাই থাকুক, কিছুটা সময় বের করে দুজন মিলে ঘুরে আসুন। একটু নিরিবিলিতে একসঙ্গে সময় কাটান।
ধন্যবাদ: কাছের মানুষকে ধন্যবাদ দিতে হয় না- এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে কৃতজ্ঞতার প্রথম ধাপ। তাই প্রিয়জনকে ভালো কোনো কাজের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। দুজনেরই ভালোলাগবে।
এইচএন/জেআইএম