স্বামীর পোশাক পরেই হতে পারেন স্মার্ট!
ভালোবাসা থাকলে কত কী-ই তো ভাগাভাগি করা যায়, এমনকী পোশাকও! কিন্তু এই কথা কি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? কথা হলো, স্বামী বেচারা যদিও স্ত্রীর পোশাক কিংবা কসমেটিকস ব্যবহার করতে পারবে না, তবে স্ত্রী কিন্তু স্বামীর পোশাকেই হয়ে উঠতে পারেন দারুণ স্মার্ট!
অ্যান্ড্রোজেনাস বা পুরুষালি পোশাকের দিকে বরাবরই নজর রয়েছে ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের। ঠিকভাবে স্টাইল করতে পারলে তা দিয়ে দারুণ ফ্যাশন স্টেটমেন্টও তৈরি করা যায় কিন্তু। আকারে একটু বড়ো টি শার্ট নট বেঁধে পরা যায়, হাফ অ্যান্ড হাফ ডেনিম জ্যাকেটও লম্বা সফরের সময় হাতের কাছে রাখতে পারেন, ফিটেড জিনস-শার্টের সঙ্গে দেখতে চমৎকার লাগবে। যারা ভাবছেন বিষয়টি ঠিক কেমন হবে, তাদের জন্য কয়েকটি টিপস-
স্বামীর জ্যাকেট গায়ে চাপিয়ে নিলেন ঠিক আছে, তার সঙ্গে কী পরলে ভালোলাগবে তাও জেনে নিন। ওভারসাইজড জ্যাকেট, হুডিজ, শার্ট বা টি শার্ট যা-ই পরুন না কেন, সঙ্গে স্কিনি, ক্রপড জিনস পরলে দেখতে ভালো লাগবে। লেগিংসের সঙ্গেও পরা যেতে পারে। সেইসঙ্গে পায়ে গলিয়ে নিন আরামদায়ক ব্লক হিল। লোফার বা ব্রোগ-ও দেখতে খুব ভালো লাগে। পরতে পারেন বুট বা আপনার প্রিয় স্নিকার্সও।
স্বামীর শার্ট কিংবা টি শার্ট মাপে বড় হওয়াটা বেশ স্বাভাবিক। কিন্তু বড় শার্ট বা টি শার্ট স্বচ্ছন্দে ড্রেসের মতো করে পরা যায়। কোমরের কাছে সরু বেল্ট পরে নিলেই পোশাকের মধ্যে একটা ফর্ম চলে আসবে। এই ধরনের পোশাকের হাতায় দুটো ফোল্ড দিয়ে নিতে পারেন, তা হলে হাতার বাড়তি ঝুলটাও চোখে পড়বে না আলাদা করে।
স্কার্টের সঙ্গে পরার মতো শার্ট পাচ্ছেন না? নজর দিন আলমারিতে স্বামীর নামে বরাদ্দ তাকের দিকে। ছেলেদের বাটন ডাউন শার্ট স্বচ্ছন্দে আপনার প্রিয় স্কার্টের মধ্যে গুঁজে পরা যায়। টি শার্ট বা ট্যাঙ্ক টপের উপরেও সুতির শার্ট জ্যাকেটের মতো গলিয়ে নিতে পারেন।
ঢিলেঢালা প্যান্ট সব সময় হাতের কাছে নাও পেতে পারেন। ঢিলেঢালা ডেনিম বা সোজা কথায় যাকে বয়ফ্রেন্ড জিনস বলে, তা কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় বয়ফ্রেন্ড জিনস পরা অত্যন্ত আরামদায়কও বটে। নিজের লুজ ফিট প্যান্ট থাকলে ভালো কথা, না হলে ধার নিন স্বামীর কাছ থেকেই।
লোফার,অক্সফোর্ড, ব্রোগের মতো জুতো রাখতে হবে সংগ্রহে। আর পায়ের সাইজ এক হলে স্নিকার্স তো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরাই যায়!
এইচএন/জেআইএম