বদহজম থেকে বাঁচতে যা করবেন
বর্ষার এই সময়ে পেট খারাপ, ডায়েরিয়া যেন লেগেই থাকে। আমাদের অসাবধানতাসহ নানা কারণে এটি হতে পারে। ডায়েরিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই একেবারে গোড়া থেকেই রোগীকে ওরস্যালাইন, ডাবের পানি ইত্যাদি খাওয়ানো দরকার। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আর যদি সাধারণ পেট খারাপ বা বদ হজমের সমস্যা হয় তাহলে তা সারানো সম্ভব ঘরোয়া উপায়ে-
বদহজমের সমস্যায় আদা পেটের অ্যাসিডের পরিমাণ কমায়, ফলে প্রদাহও কমে। তাই ইঞ্চিখানেক আদার একটি টুকরো এক গ্লাস পানিতে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিয়ে পানিটুকু ছেঁকে পান করুন। দিনে বার তিনেক খেলেই আরাম মিলবে।
বদহজমের সমস্যা কমাতে পুদিনা দারুণ কার্যকর। একমুঠো পুদিনার পাতা খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর তা ছেঁকে, অল্প ঠান্ডা করে পান করুন।
বদহজমের ঘরোয়া চিকিৎসায় লেবুপানি দারুণ কার্যকর সমাধান হয়ে উঠতে পারে। লেবুপানি ক্ষারীয়, তাই অতিরিক্ত অ্যাসিডের প্রভাব কাটাতে পারে দ্রুত। হালকা গরম পানিতে এক বড় চামচ লেবুপানি মিশিয়ে খাবার আগে পান করতে পারেন। তবে যাদের দাঁত খুব সেনসেটিভ, তাদের টানা লেবুপানি খেতে থাকলে সমস্যা হতে পারে।
এক চা চামচ মৌরি ফুটিয়ে নিন এক গ্লাস পানিতে। তারপর এই মিশ্রণটা অল্প ঠান্ডা করে নিয়ে ছোট ছোট চুমুকে পান করুন। গা বমিভাব ও বদহজমের সমস্যায় মৌরি খুব কাজে দেয়। টানা এই সমস্যা চলতে থাকলে খাওয়াদাওয়ার পর অবশ্যই ভাজা মৌরি খাওয়ার অভ্যাস রাখবেন।
পেটের অ্যাসিডকে খুব তাড়াতাড়ি নিউট্রালাইজ করতে পারে বেকিং সোডা বা সোডা-বাই-কার্ব। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধ চা চামচ সোডা-বাই-কার্ব মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। ঘণ্টা দুয়েক পরেও সমস্যা না কমলে আরও একবার খেতে পারেন, তবে তার চেয়ে বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এইচএন/পিআর