ঘাম থেকে দুর্গন্ধ? জেনে নিন সহজ কিছু সমাধান
ঘরমে ঘামের সমস্যা প্রায় সবারই হয়ে থাকে। তবে সবার ঘাম থেকেই দুর্গন্ধ হয় না। কারও কারও ঘামে ভীষণ দুর্গন্ধ হয়। এটি তখন তার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নানারকম ডিওডোরেন্ট, বডি স্প্রের ব্যবহারেও মুক্তি মেলে না। এমন অবস্থায় মন দিতে হবে প্রাকৃতিক সমাধানের দিকে। প্রথমেই জেনে নেওয়া দরকার যে ঘামের দুর্গন্ধের কারণ আসলে কী? আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। বেশি করে পানি পান করুন। পেট যেন পরিষ্কার থাকে সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
আন্ডারআর্ম নিয়ম করে পরিষ্কার করুন, যত অপরিচ্ছন্নতা বাড়বে, তত বাড়বে দুর্গন্ধের সমস্যা। আমাদের ত্বকে কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে, ঘামে উপস্থিত প্রোটিন কণাগুলিকে এই ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিডে পরিণত করে। যখন এই প্রক্রিয়া চলে, তখনই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয় এবং মানুষ ভেদে তার পরিমাণটা বদলাতে থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আপনি এই প্রক্রিয়ার উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবেন।
ঘামের দুর্গন্ধ থেকে যে যে উপাদানগুলি আপনাকে আরাম দিতে পারবে, তার মধ্যে একেবারে প্রথমেই আসবে তেল। নারিকেল তেল, টি ট্রি অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল, পিপারমিন্ট অয়েলের মধ্যে কোনো একটি অন্তত হাতের কাছে রাখতে পারেন। টি ট্রি অয়েল আর পিপারমিন্ট অয়েল পানি দিয়ে পাতলা করে স্প্রে বোতলে রাখতে পারেন। গোসলের পর সারা গায়ে তা ছড়িয়ে নিন।
নারিকেল তেল, লেবুর রস অথবা সাইট্রিক অ্যাসিড পাউডার আর পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। গোসল সেরে বেরোনোর আগে শরীরের যেসব অঙ্গে ঘাম বেশি হয় সেখানে লাগান। এরপর আর পানি ঢালবেন না, তোয়ালে দিয়ে শুকনো করে মুছে নারিকেল তেল মেখে নিন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার, লেবুর রস, গ্রিন টিও ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সক্ষম, সারাদিন আপনি ঝরঝরেও থাকতে পারবেন এগুলি ব্যবহারের ফলে। গ্রিন টি তৈরি করে নিন, ঠান্ডা করে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন, প্রয়োজনমতো ব্যবহার করবেন। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার আর পানি সমপরিমাণে নিন, মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। তুলোয় নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন এই মিশ্রণ।
এর পাশাপাশি এমন কতগুলি উপায় আছে যা আপনার শরীরের দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর হতে পারে। খালিপেটে মেথি বা মৌরির পানি পান করতে পারেন। গ্রিন টি খেলেও চলবে।
এড়িয়ে চলুন খুব টাইট ফিটিং সিন্থেটিক পোশাক-আশাক। হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরলে আরামে থাকবেন।
তেল-মশলাদার খাবার বা ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যেস থাকলেও সেটা ছাড়ার চেষ্টা করুন। বেশি করে ফল, ফলের রস, ডাবের পানি খান।
এইচএন/এমকেএইচ