প্রেম করে বিয়ে করলেই কি সঙ্গী রোমান্টিক হবে?
এরেঞ্জ ম্যারেজের চেয়ে প্রেম করে বিয়েতে বেশি আগ্রহী এখনকার ছেলেমেয়েরা। কারণ এতে একে অপরের সম্পর্কে আগে থেকে জানাশোনার সুযোগ থাকে। প্রিয় কাউকে নিজের করে পেতেই যেন বেশি আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু মনের মানুষটির সঙ্গে ঘর বাঁধলেই কি বেশি সুখী হওয়া যায়? প্রেমের বিয়ে মানেই কি অনেক বেশি রোমান্টিকতা? নাকি এরেঞ্জ ম্যারেজের চেয়ে বেশি ঝামেলা? জেনে নিন-
মা-বাবার অপছন্দ
প্রেম করে বিয়ে করতে চাইলে প্রথমেই যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেটি হলো- মা-বাবার পছন্দ নয়! অর্থাৎ আপনার পছন্দ করা মানুষটিকে তারা সহজে মেনে নিতে চান না। আর এই নিয়ে মনোমালিন্য হয়না, এমন পরিবার পাওয়া যাবে না। পরে মেনে নিলেও আজীবন খোঁটা হজম করে যেতে হয়।
বিয়ে না সংগ্রাম!
অনেকসময় মা-বাবা মেনে না নেয়াতে জেদ চেপে বসে। ভালোবাসাকে তো আর হারতে দেয়া যায় না! অনেকভাবে চেষ্টার পরেও তারা রাজি না হলে পালিয়ে বিয়ের আশ্রয় নেন অনেক প্রেমিক-প্রেমিকা। ফলে সামাজিক, পারিবারিক এবং মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে হয়। তাই এই বিয়েতে আনন্দের থেকে জেদটাই থাকে বেশি।
আগে-পরের পার্থক্য
বয়ফ্রেন্ড আর স্বামীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যা বিয়ে না হলে টের পাওয়া যায় না। কারণ প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্য বাধকতা থাকে না। ভাবনা থাকে না। কিন্তু বিয়ের পর ফ্ল্যাট, গাড়ি, ই এম আই সবই ভাবতে হয়। একসঙ্গে থাকতে শুরু করলে একে অপরকে চেনা যায়।
মানিয়ে নেয়া
বিয়ের আগে এসে দু-একদিন থাকা আর বিয়ের পর ২৪ ঘন্টা একসঙ্গে থাকার ব্যাপারটা আলাদা। একটা মেয়েকে নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ, সবকিছুই নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।
আলাদা হয়ে যাওয়া
বেশিরভাগ মেয়েই চান বিয়ের পর আলাদা সংসার পাততে। কিন্তু এতে ছেলের মায়েরা সায় দেয়না। তারা ভাবেন ছেলে বুঝি এবার হাতছাড়া হয়ে গেল। সেই থেকে শুরু আশান্তি। প্রতিদিন মা-বউয়ের ঝগড়ায় পাগল হয়ে যান স্বামী। তারপরই অশান্তি ওঠে চরমে।
সমস্যা হলে বাড়িতে বলা যাবে না
তুমি নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছ, সুতরাং কোনো সমস্যা হলে দায় তোমার। আগে বুঝে নাও নি কেন। তাই যারা প্রেম করে বিয়ে করে সেই সব মেয়েরা সব সমস্যায় বাবা-মাকে অভিযোগ জানাতে পারে না।
স্ত্রীর আয় বেশি হলে
প্রেম করার সময় এটা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিয়েই সমস্যা হয়। বাড়ির লোকের জন্যই ইগো সমস্যা তৈরি হয়। ছেলেকে এই প্রসঙ্গে বারবার খোঁটা দেওয়া হয়।
এইচএন/এমএস